Scrub Typhus In Your Lingerie: অন্তর্বাসের ভাঁজেই বাসা বাঁধছে স্ক্র‌্যাব টাইফাস! জ্বর হলেই গোপনাঙ্গ পরীক্ষার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা
অন্তর্বাসের ভাঁজেই বাসা বাঁধছে স্ক্র‌্যাব টাইফাস (Photo Credits: wikimedia and pixabay)

কলকাতা, ২৫ নভেম্বর: কলকাতা (Kolkata) সহ দক্ষিণবঙ্গ (South Bengal) জুড়ে মহামারির আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু (Dengue)। কীভাবে এই রোগের হাত থেকে পরিত্রাণ পাবেন শহরবাসী তা নিয়ে ভেবে নাজেহাল প্রশাসন। এবার গোদের উপর বিষফোঁড়া। কলকাতা শহ শহরতলি জুড়ে মাথাচারা দিয়েছে আরও এক ভয়ানক রোগ। স্ক্র‌্যাব টাইফাস (Scrub Typhus)। এই রোগের উৎস হিসেবে উঠে এসেছে এক পতঙ্গের নাম ‘ট্রম্বিকুলিড মাইট (Trombiculid Mites)।’ জ্বর হলেই তাই আগেভাগে ডেঙ্গু না ভেবে চটজলদি পরীক্ষা করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

অন্তর্বাসের (Lingerie) ভাঁজেই নাকি বাসা বাঁধছে ওই মারণ পতঙ্গ। মূলত ধানখেত এবং ঝোপঝাড়ের মধ্যে থাকে এগুলি। ইঁদুর, কুকুর, বিড়াল থেকে শুরু করে বিভিন্ন গবাদি পশুর শরীরে বাসা বাঁধে। এই সমস্ত পশুদের কোনও সমস্যা নাহলেও মানুষের শরীরে দংশন করলেই ঘটে বিপদ। প্রবল জ্বর (Fever) আসা থেকে শুরু করে যেখানে এই পোকা দংশন করছে সেখানেই ফোসকা পড়ে যাচ্ছে। দংশনের দশ থেকে চোদ্দো দিনের মাথায় জ্বর দেখা যায়। এই রোগের চেনা উপসর্গ হিসেবে দেখা যাচ্ছে প্রবল জ্বর, শরীরে যন্ত্রণা সহ গোপনাঙ্গে সিগারেটের (Cigarette) ফোসকার মতো দাগ। সময়মতো চিকিৎসা নাহলে মাল্টিপল অর্গ্যান ফেলিওর হয়ে মারাও যেতে পারে রোগী। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা আপাতত ২ জন। বেসরকারি মতে, সংখ্যাটা অনেক বেশি। কলকাতার পার্ক সার্কাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চলতি মরশুমে ১৭০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। ২২জনকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা করাতে হয়েছে। উল্টোডাঙা, শোভাবাজার, গড়িয়া, আলিপুর থেকে আরও অনেক রোগীই ভর্তি হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে সংবাদ প্রতিদিনের খবর অনুযায়ী। আরও পড়ুন: I Am Uncorrupted: তিতিবিরক্ত হয়ে 'আমাকে ঘুষ দেবেন না' বোর্ড লাগালেন সরকারি কর্মচারী, ছবি ভাইরাল

স্ক্র্যাব টাইফাসে আক্রান্ত হওয়াটাকে টাইফয়েড (Typhoid) ভেবে ভুল করছেন। অনেক সময় ভুল চিকিৎসা হচ্ছে। রক্তপরীক্ষায় কিছু ধরাও পড়ছে না। ফলে সমস্যা হচ্ছে। এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধলেও লিভার ও প্লীহা বড় হয়ে যায়। শরীরের একেবারে গোপন জায়গায় কামড়ায় বলে অনেক সময়ই দেরিতে ধরা পড়ে। জ্বর এলে তাই দ্রুত গোপনাঙ্গ ও তার আশপাশ পরীক্ষা করার পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তারবাবুরা (Doctors)। পাশাপাশি জানিয়েছেন, বাড়িতে ইঁদুর থাকলে সাবধান হতে হবে। রাস্তার কুকুর বা বিড়ালের সংস্পর্শেও সাবধানে থাকতে হবে। বাড়িতে বাগান বা ঝোপঝাড় থাকলেও সতর্কতা দরকার।