How To Rise Smart Child: বর্তমানে প্রত্যেক বাবা, মা ব্যস্ত। নিজেদের ব্যস্ত শিডিউল থেকে সময় বের করে, বাচ্চাকে কীভাবে স্মার্ট এবং বুদ্ধিদীপ্ত করে তুুলবেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না? স্নাতনকে নিয়ে চিন্তা করছেন অহরহ? এমন যদি হয়, তাহলে বেশ কিছু টিপস রইল আপনার জন্য। তবে এটি সব সময় মনে রাখতে হবে, বাচ্চাকে বুদ্ধিদীপ্ত তৈরি করতে, কোনও ম্যাজিক লাগে না। অর্থাৎ জাদুর ছড়ির ছোঁয়ায় আপনি কখনও আপনার সন্তানকে বুদ্ধিদীপ্ত গড়তে পারবেন না।
আরও পড়ুন: Health Tips: ১০টি উচ্চ প্রোটিন যুক্ত ভারতীয় খাবার, যা আপনার শরীরকে তরতাজা রাখবে, মস্তিষ্ক হবে সুচতুর, জেনে নিন অবশ্যই
দেখে নিন স্মার্ট বাচ্চা তৈরি করতে কী কী করতে হবে আপনাকে...
বাচ্চার জন্মের পর প্রথম ৫ বছরে তাঁদের মস্তিষ্কের ভিত গড়ে তুলুন। বাচ্চাকে সময় দিন যখনই হাত ফাঁকা থাকবে। তার সঙ্গে গল্প করুন। ভাল ভাল গল্প শোনান। নাচ, আঁকা, মজার জিনিসপত্র করে বাচ্চার সঙ্গে সময় কাটান।
খেয়াল রাখবেন, বাচ্চা যে খেলাগুলি খেলছে, তা যেন মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়ক হয়। সব সময় সম্ভব না হলেও, মস্তিষ্ক বিকাশের পথকে খোলা রাখে, এমন খেলা খেলতে উদ্ভুদ্ধ করুন।
বাচ্চা কী খাচ্ছে, সেদিকে নজর রাখুন। বাচ্চাকে ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ান। সেই সঙ্গে যে সমস্ত খাবারে আয়রন রয়েছে, তা বেছে নিন। পাশাপাশি যে সমস্ত খাবারে ওমেগা থ্রি রয়েছে, তা বাচ্চাকে খাওয়াতে ভুলবেন না।
বাচ্চা যাতে ভালভাবে ঘুমোতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। ঘুমের ব্যাঘাত মস্তিষ্ককে ক্ষুরধার হতে বাধা দেয়। ঘুমের ব্যাঘাত হবে, বাচ্চার আই কিউ কমে যাবে। বাচ্চাকে তা কম বুদ্ধিদীপ্ত করে তুলবে। তাই আপনার বাচ্চা যাতে ভালভাবে ঘুমোতে পারে, সেদিকে খেয়াল করুন।
সন্তানকে পড়ায় উদবুদ্ধ করুন। স্ক্রিন টাইমের পরিবর্তে বাচ্চা যাতে পড়তে বেশি উদ্ভুদ্ধ হয়, সেদিকে নজর রাখুন। বাচ্চার শব্দকোষ যাতে বাড়ে, সেদিকে সব সময় নজর করতে হবে।
বাচ্চা যদি ভুল করে, তাহলে তাকে বকাঝকা করবেন না। বাচ্চা কেন ভুল করছে, সেটা বোঝার চেষ্টা করুন এবং পরেরবার সঠিক কাজ করতে উদ্ভুদ্ধ করুন। বাবা, মায়ের উৎসাহ পেলে তবেই বাচ্চা ভুল শুধরে সঠিক কাজ করতে পারবেন।
খেলতে দিন। যখনই বাচ্চা সময় পাবে, তাকে খেলতে দিন। খেলাধুলোর সময় না পেলে, বাচ্চার চিন্তা ভাবনা বিকশিত হয় না। সেই সঙ্গে শারীরিক গঠনও জোরদার হয় না।
মোবাইল ফোন থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন। বর্তমান যুগে মোবাইল থেকে বাচ্চাদের দূরে রাখা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য বিষয় ঠিকই, তবে চেষ্টা চালাতে হবে। স্ক্রিন টাইম বেশি হলে, বাচ্চার মনযোগ কমতে শুরু করে। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। স্ক্রিন টাইম বেশি হলে, বাচ্চার চিন্তা ভাবনার অবকাশও কমতে শুরু করে।
বাচ্চার প্রশংসা করতে ভুলবেন না। ঘর থেকে যদি বাচ্চা প্রশংসা পায়, তাহলে পরবর্তী কাজে সে আরও বেশি করে উৎসাহিত হয়।