যক্ষ্মা রোগীদের জন্য বড় সুখবর, এবার নতুন উপায়ে হবে যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা, যা ছোট কিন্তু কার্যকর। ২০২৪ সালের ০৬ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার এই চিকিৎসা শুরু করার অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এই রোগটিকে নির্মূল করার জন্য ২০২৫ সাল পর্যন্ত লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তথ্য অনুযায়ী, বিপিএএলএম দিয়ে করা হবে টিবির নতুন চিকিৎসা। বিপিএএলএম হল চারটি ওষুধের সংমিশ্রণ - বেডাকুইলিন, প্রিটোম্যানিড, লাইনজোলিড এবং মক্সিফ্লক্সাসিন। প্রমাণিত হয়েছে বিপিএএলএম আগের এমডিআর-টিবি চিকিৎসা প্রক্রিয়ার থেকে নিরাপদ, আরও কার্যকর এবং ভালো।
প্রচলিত এমডিবিআর-টিবি চিকিৎসা ২০ মাস ধরে করতে হতে পারে এবং গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি থাকে। দেশ থেকে যক্ষ্মা নির্মূল করার জাতীয় লক্ষ্য অর্জনে এই নতুন চিকিৎসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। নতুন টিবি-বিরোধী চিকিৎসকায় অন্তর্ভুক্ত ওষুধ হল বেডাকুইলিন, প্রিটোম্যানিড, লাইনজোলিড এবং মক্সিফ্লক্সাসিনের সংমিশ্রণ। আগে ভারতে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (CDSCO) দ্বারা অনুমোদিত এবং লাইসেন্সপ্রাপ্ত 'প্রিটোম্যানিড'।
এই নতুন চিকিৎসা শুরু করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে দেশের ৭৫ হাজার ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা রোগী উপকৃত হবেন। যক্ষ্মা রোগীদের সুস্থ হতে সময় কম লাগবে, এছাড়া ওষুধের খরচও কমবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, স্বাস্থ্য গবেষণা বিভাগের সঙ্গে পরামর্শ করে, টিবি-র জন্য নতুন চিকিৎসার স্বীকৃতি নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ। স্বাস্থ্য গবেষণা বিভাগের মাধ্যমে একটি স্বাস্থ্য প্রযুক্তি মূল্যায়ন করা হয়েছে যে এই এমডিবিআর-টিবি চিকিৎসার বিকল্প নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী, যা নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ।