অতিরিক্ত চিনি খেলে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি শরীরে প্রচুর চর্বি জমতে পারে। অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির কারণে হৃদরোগ, ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। চিনির অতিরিক্ত ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক। বর্তমানে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে পরিশোধিত চিনি। কাপকেকের মতো অনেক খাবার যেমন বিস্কুট, মিষ্টি, চা, আইসক্রিম, ক্ষিরের মতো খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়া মিষ্টি পানীয় সহ অন্যান্য অনেক খাবারে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় চিনি, যা ক্ষতিকর।
অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার কারণে ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। অলস এবং ক্লান্তি বোধ হয়। এছাড়া অতিরিক্ত চিনি খেলে শরীরে গ্লুকোজের ঘাটতি দেখা দেয়, যার কারণে বেশি ক্ষুধার্ত বোধ করে এবং ওজন বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার কারণে আলঝেইমারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কের গ্লুকোজ প্রক্রিয়ার ক্ষমতা হারিয়ে যায়। এছাড়া অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলে সবসময় মাথাব্যথা থাকে। অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার কারণে হৃৎপিণ্ডের ধমনীর চারপাশের পেশী টিস্যু স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি প্রসারিত হতে শুরু করে, যার কারণে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
একাধিক গবেষণায় জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত চিনি খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়তে শুরু করে, যা শরীরের জন্য বিপজ্জনক। চিনি এমন একটি জিনিস যা শরীরের স্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরল কমিয়ে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়। অতিরিক্ত চিনি খেলে নন-অ্যালকোহলযুক্ত ফ্যাটি লিভারের রোগ হয়, এতে লিভারে চর্বি জমা হয়। এছাড়া অতিরিক্ত চিনি খেলে ত্বক খারাপ দেখাতে শুরু করে। ত্বকে ব্রণ ও দাগ দেখা দিতে শুরু করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফিটনেসের জন্য লবণ এবং চিনি পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়া জরুরি।