প্রতিটি বাড়িতেই কেউ না কেউ ঘুমানোর সময় নাক ডাকে। এতে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের ঘুমাতে সমস্যা হয়, বিশেষ করে কেউ সঙ্গে ঘুমালে ঘুমহীন রাত কাটাতে হয় তাকে। এই কারণে অনেক সময় একসঙ্গে ঘুমানোর পরিবর্তে আলাদা আলাদা ঘরে ঘুমানো এই সমস্যার সমাধান বলে মনে হয়। তবে জীবনসঙ্গী হয়ে আলাদা আলাদা ঘরে ঘুমানোর কারণে অনেক সময় সম্পর্কে ফাটল ধরতে শুরু করে, এমন পরিস্থিতিতে এই সমস্যাটি দ্রুত সমাধান করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য কিছু সহজ ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক নাক ডাকা নিয়ন্ত্রণ করার উপায়...
সাধারণত পিঠে ঘুমালে সর্বাধিক নাক ডাকার শব্দ হয়। এই অবস্থানে শুয়ে থাকার ফলে জিহ্বা কিছুটা পিছনে সরে যায়, যার কারণে নাক ডাকার শব্দ আরও জোরে হয়। এছাড়া কারও কারও রাতে খুব বেশি খাবার খেয়েই ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস বা রাতের খাবারের সময় বেশি করে দুধের খাবার খাওয়ার অভ্যাসের কারণে নাক ডাকার সমস্যা দেখা দেয়। সঠিকভাবে কাজ করার জন্য, একজনকে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল পান করা জরুরি। পানিশূন্যতা থাকলে গলা, নাক ও নাকের গহ্বরে শুষ্কতা সৃষ্টি হয়। এতে জ্বালা ও ফোলাভাব হতে পারে, যা নাক ডাকার শব্দ বাড়িয়ে দিতে পারে।
শীতের মরসুমে হালকা গরম জলে স্নান করা ভালো, কিন্তু গ্রীষ্মের মরসুমে উষ্ণ গরম জলে স্নান করা কঠিন। তবে উষ্ণ গরম জল শ্লেষ্মা গলানোর কাজ করে, নাক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এটি। নাক ও গলা পরিষ্কার থাকলে নাক থেকে শব্দ কম হয়। এছাড়া ওজন বেড়ে যাওয়া, অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করা, খুব ক্লান্তি, ঘুমের অভাব এসব কারণেও নাক ডাকা বাড়ে। তাই নাকা ডাকা নিয়ন্ত্রণ করার আগে খুঁজে বের করতে হবে নাক ডাকার কারণ, তবেই সঠিক সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব।