নতুন দিল্লি, ১৯ আগস্ট: বিশ্বের প্রথম করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন (COVID-19 Vaccine) হিসেবে স্পুটনিক-ভি কে নথিভুক্ত করেছে রাশিয়া। এবার সেই স্পুটনিক-ভি ভারতে তৈরি হোক, এমনটাই চাইছেন রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের ডিরেক্টর কিরিল দিমিত্রিভ। করোনা ভ্যাকসিন স্পুটনিক-ভি-এর ফান্ডিং করছে তাঁর সংস্থা। আশা করা যায় এই ভ্যাকসিনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দূর হবে। কিরিল দিমিত্রিভ ইতিমধ্যেই এক নিউজ চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ভারতের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। প্রয়োজনে সেখানেও তৈরি হবে স্পুটনিক ভি। ভারতে কোভি-১৯ ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি-এর তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করাতে তৎপর রাশিয়া। সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে-কে এই প্রসঙ্গে দিমিত্রিভ বলেন, ভ্যাকসিন তৈরির জন্য ভারতের বাজার খুলে দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই বক্তব্য আমরা শুনেছি ও দেখেছি।” আরও পড়ুন-Delhi-NCR Rains: মুষলধারের বৃষ্টিতে জলমগ্ন রাজধানী, দিল্লির রাজপথে গাড়ির ভাসমান ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল
তিনি আরও বলেন, “মারণ রোগ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির জন্য ভারত মোটা অঙ্কের অর্থ লগ্নি করেছে। এমনিতেই ভারতে রয়েছে বড় বড় ওযুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা। এসব কারণেই মস্কো চায় ভারতের বাজারে তৈরি হোক স্পুটনিক ভি।” গত ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশে বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ভারতে তিনটি ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর্যায়ে রয়েছে। এবং এগুলি সফল হলে দেসেই গণহারে ভ্যাকসিন তৈরি হবে। এই প্রসঙ্গে দিমিত্রিভ বলেন, “ভারত সরকার, সেখানকার ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ও ভারতীয় বিজ্ঞানীদের সঙ্গে আমাদের দারুণ সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে। তাঁরা আমাদের প্রযুক্তি বুঝেছেন। তাই বারতে স্পুটনিক ভি-এর তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হবে। ভ্যাকসিন প্রস্তুতিতে ভারত-সহ ২০টি দেশের সঙ্গে কাজ করছি। এই তালিকায় সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমীরশাহির মতো দেশও রয়েছে। বিশ্বজুড়ে এই ভ্যাকসিন যাতে আমাদের উৎপাদক দেশগুলির ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে ও সহজলভ্য হয় সেটাই আমরা চাই।”
গত ১১ আগস্ট প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেন যে রাশিয়া বিশ্বের প্রথম করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের নাম নথিভুক্ত করেছে। এটি হল স্পুটনিক ভি। গামালিয়া ন্যাশনাল সেন্টার অফ এপিডিমোলজি ও অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজির সঙ্গে যৌথভাবে এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছে রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড। ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি, এই এক মাসের মধ্যে কমপক্ষে এই ভ্যাকসিনের ৫ মিলিয়ন ডোজ তৈরি করবে রাশিয়া।