Credits: Pixabay

সিগারেটের নেশা ত্যাগ করা সহজ নয়, তবে কঠিনও নয়। এক গবেষণায় বলা হয়েছে, সিগারেট ছাড়তে না পারার সবচেয়ে বড় কারণ হল নিকোটিন। সিগারেট এমনভাবে ডিজাইন করা হয় যে মানুষের মস্তিষ্কে দ্রুত নিকোটিন পৌঁছে যায়। এটি মস্তিষ্কে ডোপামিন নিঃসরণ করে এবং তাৎক্ষণিক সুখ দেয়। এমতাবস্থায় জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আসলে নিকোটিনের আসক্তি এবং ধূমপান থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ধূমপান ছাড়ার জন্য ধূমপান করার ইচ্ছা হওয়ার কারণ খুঁজে বের করা জরুরি। ধূমপান ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রথমে চিকিৎসকের সহায়তা নেওয়া উচিত। তারপর ক্লাস, কাউন্সেলিং এবং টিপস অনুসরণ করা জরুরি।

নিকোটিন ছাড়ার জন্য রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির সাহায্য নেওয়া উচিত, এর জন্য নিকোটিন প্রতিস্থাপন গাম, লজেঞ্জস, প্যাচ ব্যবহার করা যেতে পারে। অ্যালকোহল পান করলে সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছা হতে পারে। তাই ধূমপান ছাড়ার জন্য এই ধরনের জিনিস এড়িয়ে চলার চেষ্টা করা উচিত। আচমকা ধূমপান ত্যাগ করার পরিবর্তে ধীরে ধীরে ধূমপান ছাড়ার চেষ্টা করা উচিত। প্রতিদিন সিগারেটের সংখ্যা হ্রাস করতে করতে একসময় পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়া সম্ভব। সিগারেট খাওয়ার তাগিদ অনুভব করলে মুখে কিছু চিবিয়ে যেতে হবে। চিনিহীন আঠা বা শক্ত মিছরি ব্যবহার করা যেতে পারে, এটি সিগারেটের লোভ কমায়।

সিগারেট খাওয়ার মাঝে বাদাম এবং আখরোটের মতো বাদাম খাওয়া যেতে পারে। শুকনো গাজর সিগারেটের নেশা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। ধূমপান ত্যাগ করতে, মানসিক চাপ এড়িয়ে চলা জরুরি। এর জন্য শিথিলকরণ কৌশল অবলম্বন করতে হবে। নিজেকে শিথিল রেখে পুরনো প্রযুক্তির সাহায্য নিতে হবে। এমন করলে ধীরে ধীরে সিগারেটের নেশা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। শারীরিক ব্যায়াম এবং যোগব্যায়াম শরীরের জন্য সামগ্রিকভাবে উপকারী। শারীরিক স্বাস্থ্যের দিকে মনোনিবেশ করলে ধূমপানের প্রতি মনোযোগ কমে যায়। এই ভাবে ধূমপান থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।