বর্তমান যুগে খারাপ খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার কারণে ক্রমাগত বাড়ছে ক্যানসারের সংখ্যা। সারা বিশ্বের জন্য বিপজ্জনক ক্যান্সার রোগ। প্রতি বছর প্রায় কোটি মানুষের মৃত্যু হয় ক্যান্সারের কারণে। ভারতেও দ্রুত বাড়ছে ক্যান্সারের সংখ্যা। তথ্য অনুযায়ী, ভারতে ক্যান্সারের চিকিৎসা নিচ্ছেন প্রায় ২৭ লক্ষ মানুষ। ২০২০ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮.৫ লক্ষ মানুষের। ক্যান্সার এড়িয়ে চলার জন্য প্রাথমিকভাবে এটি সনাক্ত করা খুবই জরুরি। সময়মতো সনাক্ত করা গেলে ক্যান্সারের চিকিৎসা শুরু করে ব্যক্তির জীবন বাঁচানো সম্ভব।
কোনও ব্যক্তির জিভের রং হঠাৎ করে কালো হতে শুরু করলে তা গলার সংক্রমণ এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। তবে ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সার রোগীদের জিভের রংও কালো হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে পাকস্থলীতে আলসার ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে জিহ্বার রং কালো হতে শুরু করে। কিছু লক্ষণের মাধ্যমে বোঝা যায় মুখের ক্যান্সার। সেগুলো হল দাঁত শিথিল হওয়া, গলায় পিণ্ডের মতো চেহারা, ঠোঁটে ফোলা বা ক্ষত যা নিরাময় না হওয়া, খাবার গিলতে অসুবিধা বা ব্যথা অনুভব হওয়া, মুখের মধ্যে রক্তপাত বা অসাড়তা এবং জিহ্বা বা মাড়িতে সাদা বা লাল দাগ।
তামাক বা অ্যালকোহলের অত্যধিক ব্যবহার মুখের ক্যান্সারের প্রধান কারণ। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (HPV), এপস্টাইন-বার ভাইরাস (EBV), জেনেটিক, খারাপ ওরাল হাইজিন, মাড়ির রোগ এবং অতিরিক্ত সুপারি চিবানোর কারণেও হয় মুখের ক্যান্সার। মুখের ক্যান্সারের চিকিৎসা নির্ভর করে ক্যান্সারের ধরন, অবস্থান এবং অবস্থার উপর। সিটি স্ক্যান এবং এমআরআই স্ক্যানের মতো পরীক্ষাগুলির মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয় ক্যান্সারের আকার। প্রাথমিক পর্যায়ে মুখের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে সার্জারির সাহায্যে অপসারণ করা হয় টিউমার। অনেক সময় রেডিওথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা করা যেতে পারে ক্যান্সারের। কেমোথেরাপির মাধ্যমে টিউমারকে নষ্ট করার বা সঙ্কুচিত করার জন্য ওষুধ ব্যবহার করা হয়।