প্রতি বছর ২৬ নভেম্বর পালন করা হয় জাতীয় দুগ্ধ দিবস। ২০১৪ সালে প্রথমবার পালন করা হয়েছিল এই দিনটি। জাতীয় দুগ্ধ দিবস পালন করার মূল উদ্দেশ্য হল দুধ উৎপাদনের প্রচার এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা। শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড় দুর্বল হতে শুরু করে, ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করতে দুধ পান করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন সহ পাওয়া যায় বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পুষ্টি। তাই প্রতিদিন দুধ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
‘অপারেশন ফ্লাড’ অর্থাৎ শ্বেত বিপ্লবের কারণে বর্তমানে দুধ উৎপাদনের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে ভারত এবং এই কৃতিত্ব যায় ডক্টর ভার্গিস কুরিয়েনের কাছে। ১৯৭০ সালে শ্বেত বিপ্লব শুরু করেন তিনি। এই বিপ্লবের মূল উদ্দেশ্য ছিল দুধ উৎপাদনের প্রচার করা। ১৯৬৫ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় দুগ্ধ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন ডাঃ ভার্গিস কুরিয়েন। এই সময় দেশের প্রতিটি কোণায় দুধ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। বর্তমানে দেশের শতাধিক শহরে দুধ উৎপাদন করা হয়।
শ্বেত বিপ্লবের ফলে দুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে ভারত। শ্বেত বিপ্লবের জনক ডক্টর ভার্গিস কুরিয়েনের জন্মদিন উপলক্ষে ২৬ নভেম্বর দিনটিতে পালন করা হয় জাতীয় দুগ্ধ দিবস। তাঁকে সম্মান জানাতে পালন করা হয় এই দিনটি। সারা দেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডক্টর ভার্গিস কুরিয়েনকে স্মরণ করা হয় এই দিনে। মানুষকে দুধ উৎপাদনের গুরুত্ব সম্পর্কেও জানানো হয় এবং কৃষকদেরও সচেতন করা হয় জাতীয় দুগ্ধ দিবসে।