পুরোপুরি করোনা ভাইরাসের তাণ্ডব থেকে মুক্তি পায়নি বিশ্ব‌। তার উপরে বর্তমানে অনেক রোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চুম্বন। ব্রিটেন সহ অনেক দেশে বৃদ্ধি পেয়েছে গ্ল্যান্ডুয়ার ফিভার অর্থাৎ চুম্বন রোগের ঝুঁকি। এক ব্যক্তির লালার সংস্পর্শে আসার ফলে সৃষ্টি হওয়া সংক্রমণের কারণে হচ্ছে গ্রন্থিজনিত জ্বর, যাকে বলা হয় গ্ল্যান্ডুয়ার ফিভার অর্থাৎ চুম্বন রোগ। ব্রিটেনে এই ভাইরাসে আক্রান্ত এক কলেজ পড়ুয়াকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। চলুন জেনে নেওয়া যাক গ্ল্যান্ডুয়ার ফিভার বা চুম্বন রোগ কী এবং এই রোগের লক্ষণগুলো কী কী।

চুম্বন রোগে ছড়িয়ে পড়ে এপস্টাইন বার নামক ভাইরাস‌। লালার মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে অন্য একজন ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস অর্থাৎ চুম্বন, কাশি এবং হাঁচির পাশাপাশি এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে একই চামচ বা গ্লাসে খাওয়া এবং একই সিগারেটে ধূমপান করার মাধ্যমে। চুম্বন রোগের ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলে এর লক্ষণ প্রথম দেখতে পাওয়া যায় গলায়। এর ফলে কাশি, গলা ব্যথা এবং টনসিলের সমস্যা হয়।

চুম্বন রোগের ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার ফলে গলার গ্রন্থিগুলো ফুলে যায়। এরপর বমি এবং অতিরিক্ত ঘাম হয়। এছাড়া প্রচণ্ড জ্বরের পাশাপাশি শরীরে ফুসকুড়ি, মাথায় ও শরীরে ব্যথা, লিভারে ব্যথার মতো সমস্যা হয়। লালার মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করায় এই রোগটিকে বলা হয় চুম্বন রোগ। চুম্বন রোগ সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে লিভারকে। এর কারণে হতে পারে লিভার ফেইলিওর এবং হেপাটাইটিসও।