চোখ বিনা পৃথিবীতে বেঁচে থাকাই অর্থহীন। মনের চোখ আর অপরের সহানুভূতি নিয়ে বাঁচা তো আর উপভোগ্য হতে পারে না। তাই প্রিয়জনকে দেখুন আর কম্পিউটারের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকুন, চোখেরও বিশ্রাম চাই। নাহলে সৌন্দর্যের প্রাথমিক ধাপটাই তৈরি হয় না, উল্টে নানারকম রোগ শরীরে বাসা বাঁধে। তার উপর রয়েছে কাজের চাপে কম ঘুমের সমস্যাও। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিও অনেকটাই ক্ষতি করে চোখের। উপযুক্ত যত্নের অভাবে চোখের চারপাশ জুড়ে বলিরেখা, ডার্ক সার্কল দেখা দেয়। শুরু হয় অকালেই চোখের নানা সমস্যা। আরও পড়ুন-যৌবনকে চালসে হতে দেবেন না, নিয়মিত খান এই ফল
চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে, চোখ ভাল রাখতে গেলে যেমন মাঝে মাঝেই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত, ঠিক তেমনই খাবার পাতেও খেয়াল রাখা উচিত। দৃষ্টিশক্তি ( Eye sight) বাড়ে এমন খাবার পাতে রাখা, চোখের জন্য নির্ধারিত কিছু ব্যায়াম ও নিয়ম মেনে চলাই পারে চোখের সার্বিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে। তাই কিছু নিয়ম তো মানতেই হবে। কেননা চোখের থেকে স্পর্শকাতর অঙ্গ আর হয় না। তাই কী করলে চোখকে সুস্থ রাখতে পারবেন একবার দেখে নিই।
সাধারণত কাজের চাপে এখন অনেকেই রোজ আট ঘণ্টা ঘুমোতে পারেন না। ফলে ঘোলাটে চোখ, আই ব্যাগ ইত্যাদি সমস্যায় ভুগতে হয়। এ ক্ষেত্রে দুটো চামচ ডিপ ফ্রিজে রেখে তা ঠান্ডা করুন। তার পরে সেই চামচ দুটি দুচোখে চেপে ধরে রাখুন। দ্রুত আইব্যাগ দূর হবে। চোখ উজ্জ্বল দেখাবে। বেশ কিছুক্ষণ কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করলে অবশ্যই প্রতি এক ঘণ্টায় অন্তত ১০ মিনিটের বিরতি নিন। এই সময়টা সবুজ গাছের দিকে তাকিয়ে থাকুন। এতে চোখ সুন্দর থাকে। একটানা কম্পিউটার বা মোবাইল ব্যবহার করলে মাঝে মাঝেই চোখের পলক ফেলুন। এমনিতে চোখের তেমন কোনও সমস্যা না থাকলে স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াতেই ঘন ঘন চোখের পলক পড়ে। যদি একটানা চোখের পরিশ্রমের কাজ করেন, তবে এই পলক ফেলার কাজটি নিজেও চেষ্টা করে করুন। এক মিনিট ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলা একটি ব্যায়ামের মতো কাজ করে। এতে চোখ বেশিক্ষণ শুষ্ক থাকে না।