প্রতিদিনের জীবনে বুড়িয়ে যাওয়াটা একেবারে দৈন্দিন ব্যাপার হয়েদাঁড়িয়েছে। একমাত্র তাঁরাই তরতাজা ও যুবক থাকবেন, যাঁরা মডেলিং অভিনয়কে পেশা হিসেবে নিয়েছেন, আর বাকিরা অফিসে কাজের চাপ বাড়িতে পারিপার্শ্বিক চাপ ও হাজারো সমস্যার মধ্যে নিজেদের মানিয়ে নিতে গিয়ে কবে যে বুড়িয়ে যাবেন বুঝতেই পারবেন না। কিন্তু আজকালকার দিনে প্রাইভেট সেক্টরে চাকরি করতে গেলে বুড়োলে চলবে না। তাহলে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছেন বলে কোনও একদিন এই অজুহাতে চাকরিটাই চলে যেতে পারে। তাই শতচাপেও আপনাকে সুস্থ ও ভিতর থেকে তরতাজা হতে হবে। আরও পড়ুন- পার্লারের মতো বাড়িতে সাজতে চান, এভাবেই করুন মেকআপ
তাই ৪০-এর কোঠা পেরোলেও কী করে তরতাজা থাকবেন একবার দেখে নিন। আজ থেকেই শুরু হয়ে যাক যৌবন ধরে রাখার কৌশল। বেশকিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, চল্লিশের পর থেকে ভারতীয় নারীদের শরীরে বার্ধক্য দেখা দিতে থাকে। এর কারণ কিন্তু আর কিছুই নয়, স্রেফ নিজের শরীরের প্রতি গাফিলতি। হাজার কজের মধ্যেও শরীরের ঠিকঠাক যত্ন নিতে পারলে, চল্লিশ কেন ষাটেও যৌবন ধরে রাখা অনায়াসেই সম্ভব। নির্দিষ্ট ডায়েট ফলো করলে যৌবন এমনিতেই আপনার তালুবন্দি হবে। প্রতিদিনই কাজের সূত্রে আপনাকে রোদে বেরোতে হয়। এই রোদ আর পলিউশন ত্বকে যে শুধুই ট্যানের দাগ ফেলে তা নয়, বরং ত্বকের কোষের ক্ষতিও করে। এছাড়া কাজের চাপ তো রয়েইছে। এসব কমাতেই ব্লুবেরি খান, তাহলে মেন্টাল স্ট্রেসের যে ছাপ আপনার ত্বকে ও চেহারায় ক্ষতির কারণ হচ্ছে তা আর থাকবে না। এই ফলে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের রিঙ্কলস-কে দূরে রাখে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ত্বকে কোলাজেন নামে একটি পদার্থ থাকে যা ত্বককে টানটান রাখে। এই কারণেই ত্বককে যৌবনের মত সুন্দর দেখায়। ফ্রি ব়্যাডিক্যালস ত্বকের এই কোলাজেনকে নষ্ট করে দেয়। বেদানার রস শরীরে ফ্রি ব়্যাডিক্যালসগুলোকে নষ্ট করে দেয়। শুধু তাই নয়, কোলাজেনকেও নষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। বয়স বাড়লে ব্যথা বেদনা কাবু করে ফেলে, তাই মাশরুম খান। মাশরুম হল ভিটামিন ডি-এর সম্ভার। ভিটামিন ডি ছাড়া হাড় ক্যালসিয়াম শোষণ করতে পারে না। শুধুই ক্যালসিয়াম নয়, চল্লিশের কোঠা পেরোলে প্রোটিন, ফাইবার ও মাইক্রোনিউট্র্যান্টের মত গুরুত্বপূর্ণ উপকরণগুলোর ঘাটতিও যথেষ্ট পরিমাণে দেখা যায়। এরই সঙ্গে শরীরে বাড়তে থাকে কোলেস্টেরলের পরিমাণ যা ডেকে আনে হার্টের বিপদ। বাদামের মধ্যে আখরোট আর আমন্ড কোলেস্টেরল কমানোর জন্য সবচেয়ে উপকারী। খেতে হবে আনারসও, এই ফলে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজের মতো ধাতু যা এই অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি করতে প্রধান ভূমিকা নেয়। তাই ত্বকের যৌবন ধরে রাখতে আনারসের মত ফলকে ডায়েট থেকে বাদ রাখলে চলবে না।