ফুড অ্যালার্জি মানে কোনও নির্দিষ্ট খাবার খাওয়ার পর যে অ্যালার্জি হয়। যখন কোনও খাবার গ্রহণ করার পর শরীর সহ্য করতে পারে না, তখন শরীর তার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া করতে শুরু করে, যার কারণে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয়। বর্তমান যুবসমাজে খাবারের অ্যালার্জি দ্রুত বাড়ছে। এক গবেষণা অনুসারে, ১০ শতাংশের বেশি যুবক যুবতী অ্যালার্জির শিকার। কখনও এই অ্যালার্জি স্বাভাবিক হয়, আবার কখনও কখনও এই অ্যালার্জি তীব্র হয়ে যায়। খাদ্যে অ্যালার্জি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। তবে প্রথমে জেনে নেওয়া যাক খাদ্যে এলার্জির লক্ষণগুলো কী কী।

খাদ্যে এলার্জি থাকলে নির্দিষ্ট কিছু খাবার খাওয়ার পর চুলকানি বা ত্বকে ফুসকুড়ি হতে পারে। আবার কিছু খাওয়ার পর ঠোঁট বা জিভ ফুলে যায়, এই অ্যালার্জি ফুসফুসকে প্রভাবিত করতে পারে। এছাড়া কিছু খাবার খাওয়ার পর গলায় চুলকানি, কর্কশ কণ্ঠস্বর, গিলতে অসুবিধা, গলা ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। খাদ্যে এলার্জি থাকলে কিছু খাবার খাওয়ার পর শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। শ্বাসকষ্ট বা হঠাৎ কাশি শুরু হয়। কিছু কিছু খাবার খাওয়ার পর বমি বমি ভাব, বমি এবং পেট ফাঁপার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া খাদ্যে এলার্জি থাকলে কিছু খাবার খাওয়ার পর ত্বক হলুদ বা নীল হয়ে যায়।

যখন ইমিউন সিস্টেম একটি নির্দিষ্ট ধরনের খাবারের প্রতি অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখায় তখন ফুড অ্যালার্জি হতে পারে। শরীরে একটি প্রোটিন আছে, যাকে ইমিউনোগ্লোবিউলিন বলে, বিভিন্ন ইমিউনোগ্লোবিউলিনের বিভিন্ন কাজ আছে। ব্যাকটেরিয়া, পরজীবী বা ক্যান্সার কোষের মতো শরীরের জন্য বিপজ্জনক যেকোনও কিছু ইমিউনোগ্লোবিউলিন ই (IgE) দ্বারা চিহ্নিত এবং অপসারণ করা হয়। এমন খাবার যা শরীরের জন্য ভালো নয়, তখন IgE শরীরকে প্রতিক্রিয়া জানাতে বলে, যার কারণে শরীরে অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দেয়।