Credits: Pixabay

শুকনো ফল বা ড্রাই ফ্রুট বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর, তাই সব ঋতুতেই শুকনো ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। শুকনো ফলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ অনেক পুষ্টি উপাদান। শুকনো ফল খেলে শরীরে বৃদ্ধি পায় প্রোটিন এবং অন্যান্য অনেক পুষ্টি উপাদান। তবে শুকনো ফল জলে ভিজিয়ে রাখার পর খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। শুকনো ফলে উপস্থিত ফাইটিক অ্যাসিড জলে ভিজিয়ে রাখার কারণে কমতে শুরু করে, যার ফলে সহজে হজম হয়ে যায়। কিশমিশের মতো শুকনো ফলে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় প্রিজারভেটিভ। জলে ভিজিয়ে রাখার কারণে বিপজ্জনক প্রিজারভেটিভ সরে যায়।

ভেজানো শুকনো ফলের রয়েছে অনেক উপকারিতা। ভেজানো শুকনো ফল খাওয়া অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো, এর ফলে উন্নত হয় হজম ক্ষমতা। ভেজানো ড্রাই ফ্রুটে প্রচুর পরিমাণে তরল উপাদান থাকে, যা খেলে শরীরে শক্তি সঞ্চয় হয়। শুকনো ফল ভিজিয়ে খেলে পরিপাকতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। এছাড়া পেট ঠাণ্ডা রাখার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করে ভেজানো শুকনো ফল। ভিজিয়ে রাখলে শুকনো ফলে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান থেকে বেশি উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া ভিজিয়ে রাখলে ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

শুকনো ফলগুলো ভিজিয়ে খালি পেটে খাওয়া উচিত। শুকনো ফলের মধ্যে বাদামে রয়েছে ভিটামিন-ই এবং বি-৬। বাদাম মস্তিষ্কের কোষে প্রোটিন শোষণে সাহায্য করে। এছাড়া বাদামে উপস্থিত ওমেগা ৩ এবং ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। শুকনো ফলের মধ্যে ফাইবার সমৃদ্ধ কালো কিশমিশ প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে মলত্যাগের সমস্যা দূর হয়। এছাড়া কালো কিশমিশে উপস্থিত পলিফেনল এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র‌্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে এবং চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। কালো কিশমিশের মতো পেস্তাবাদামেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। পেটে পেস্তার মতো শুকনো ফল ওজন কমতে সাহায্য করে।