প্রতীকি ছবি(Photo credit: Wikimedia commons)

বিয়ার্ডেড বয়ফ্রেন্ড(Bearded boyfriend) পছন্দ তাহলে এই বেলা প্রতিবেদনটি পড়ে ফেলুন তারপর ঠিক করবেন, ফর্মাল না ক্যাজুয়াল লুকে প্রিয়তমকে দেখতে চান। জানেন কি শখের দাড়িও বিপদের কারণ হতে পারে। সুইজারল্যান্ডের(Switzerland) জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের(Zurich University) গবেষকরা অন্তত তেমনটাই দাবি করেছেন।

পোষ্যদের প্রতি অমোঘ প্রেম। কিন্তু গিন্নির নজরদারিতে প্রিয় সারমেয়কে সবসময় স্নান করাতে পারেন না, তানিয়ে দাম্পত্য কলহ বেড়েই চলে। এদিকে এই গবেষণার খবর পেতেই স্ত্রীকে চেপে ধরলেন সুবিমলবাবু(Subimal), খুব তো আমার ভুলুকে নিয়ে কথা শোনাও। নিজের দাদার দাড়ি খানা দেখেছো। দিনের পর দিন কেমন বেহায়ার মতো বেড়ে চলেছে। দাদার তো কোনও হুঁশই নেই। কুকুরের লোমের থেকেও বেশি নোংরা দাড়ি। চেঁচামেচি করতে গিয়েও থেমে গেলেন দত্ত গিন্নি। বর তো কিছু ভুল বলেননি। বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট বলছে, এক পরীক্ষায় ব্যবহৃত প্রতিটি দাড়ির নমুনাতেই লক্ষ্য করা গিয়েছে মারাত্মক ক্ষতিকারক জীবাণুর উপস্থিতি। যেখানে ৩০টির মধ্যে মাত্র ২৩টি লোমের নমুনায় পাওয়া গিয়েছে ক্ষতিকারক জীবাণু। অন্যদিকে ১৮টি দাড়ির নমুনার মধ্যে ৭টি নমুনায় এতটাই ক্ষতিকারক জীবাণু দেখা গিয়েছে যে, তা থেকে হতে পারে মারাত্মক কোনও অসুখ।

মুখ্য গবেষক আন্দ্রিয়াস গাজেট জানান, এই গবেষণার ফল থেকে বলা যেতেই পারে যে কুকুরের লোমের থেকেও অনেক বেশি নোংরা এবং ক্ষতিকারক মানুষের দাড়ি। বিষয়টি নিয়ে বেশকিছু গবেষক দ্বিমত পোষণ করলেও মহিলারা সাবধান। এবার থেকে আর স্টাইলিশ দাড়ির মাচো ম্যান নয়, সাফসুতরো ফর্মাল যুবককেই পটাবেন। আর এই যে উরি দেখে হিরো হওয়া সদ্য যুবক এই বেলা দাড়ির যত্ন নিন, নাহলে গার্লফ্রেন্ড ব্রেকআপ করল বলে।