রক্তে শর্করার ওঠানামা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই খারাপ। রক্তে শর্করার বার বার ওঠানামা হওয়া মানে আপনার ডায়েটে কিছু ভুল আছে। শুধু তাই নয়, সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে আরও অনেক কারণ থাকতে পারে। তবে যেকোনও কারণে, সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে তা কিডনি থেকে হার্ট এবং চোখ সব কিছুকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই সুগারের মাত্রা ওঠানামা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা উচিত। এবার আমরা এমন এক বাদামের কথা জানবো যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। আখরোটের মতো দেখতে এই বাদামগুলো খুবই সুস্বাদু এবং এর অনেক উপকারিতাও রয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মেক্সিকোর গবেষকদের মতে, পেকান বাদাম খাওয়া ক্যালোরি ক্ষয় করার গতি বাড়ায় এবং অন্ত্রের মাইক্রোবায়োটার ভারসাম্যহীনতা এবং প্রদাহ উভয়ই কমায়। পেকান একটি "সুপারফুড" হিসেবে কাজ করে। এক খাদ্য বিজ্ঞানীর মতে, ৫৯ কেজি ওজনের একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ যদি প্রতিদিন ২০-২৫টি পেকান খান, তাহলে তার রক্তে শর্করার মাত্রা এবং ওজন উভয়ই কমে যাবে। পেকান বাদামে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং প্রোটিন রয়েছে। এছাড়াও এতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, পটাসিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি যা সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম।
পেকান বাদামের আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের পেকান বাদাম খাওয়া উচিত। ম্যাগনেসিয়াম থাকার কারণে এটি উচ্চ রক্তচাপ কমায়। অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ বাদাম, যা প্রদাহের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। অল্প বয়সে চোখ নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচতে এই বাদাম খাওয়া শুরু করা উচিত। এই বাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকায় এটি চোখের জন্য উপকারী। ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে পারে। হজম শক্তিকে বাড়াতে পেকান বাদাম খাওয়া যেতে পারে। এতে রয়েছে ফাইবার, যা পেট পরিষ্কার করে। হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পেকান বাদামে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকার কারণে এটি শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়।