ব্যস্ত জীবনে ক্লান্তি একটি খুবই সাধারণ সমস্যা। কাজের চাপ, মানসিক চাপ এবং ঘুমের অভাবের মতো অনেক কারণেই ক্লান্তি অনুভব হয়। কিন্তু রাতে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমের পরও সকালে ক্লান্তি অনুভবের কারণ হতে পারে পুষ্টির ঘাটতি। আয়রন শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে, যা রক্তে অক্সিজেন বহন করার কাজ করে। শরীরে আয়রনের ঘাটতি থাকলে রক্তস্বল্পতার সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলে ক্লান্তি, দুর্বলতা এবং মাথা ঘোরার মতো সমস্যা হয়। শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করতে সবুজ শাক-সবজি, ডাল জাতীয় খাবার এবং আমিষ খাবার খাওয়া উপকারী।
ভিটামিন বি ১২ একটি সুস্থ শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন বি ১২ স্নায়ু এবং রক্ত কোষ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। শরীরে ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে ক্লান্তি, দুর্বলতা এবং মনোযোগ দিতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। শরীরে ভিটামিন বি ১২ এর অভাব দূর করার জন্য দুগ্ধজাত পণ্য, ডিম, মাংস এবং মটরশুটি জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। এছাড়া ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে শক্তির মাত্রা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন ডি এর অভাবে পেশী দুর্বলতা এবং ক্লান্তির সমস্যা দেখা দিতে পারে। ভিটামিন ডি এর অভাব দূর করার জন্য প্রাকৃতিক সূর্যালোক, চর্বিযুক্ত মাছ এবং ডিম গুরুত্বপূর্ণ।
ম্যাগনেসিয়াম পেশী এবং স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক কার্যকারিতার জন্য জরুরি। ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতিতে পেশী স্ট্রেন, ক্লান্তি এবং উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি দূর করার জন্য বাদাম, বীজ এবং গোটা শস্য উপকারী। এছাড়া ফোলেটের অভাবেও ক্লান্তি, বিষণ্নতা এবং অমনোযোগের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফোলেট, ভিটামিন বি ৯ নামেও পরিচিত। ফোলেট শরীরে নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে। ফোলেট বা ভিটামিন বি ৯ এর ঘাটতি দূর করার জন্য সবুজ শাক-সবজি, ফলমূল এবং গোটা শস্য খাওয়া উপকারী। এছাড়া জলের অভাবও হতে পারে ক্লান্তির কারণ। তাই সারাদিনে সঠিক পরিমাণে জল পান করা উচিত।