গাজর একটি সবজি, যা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। বর্তমান যুগে সারা বছরই পাওয়া যায় এই সবজি। গাজর হয় ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এই সবজি খেলে চোখ, লিভার, কিডনিসহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের উপকার হয়। ৯০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে আফগানিস্তানে প্রথম জন্ম হয় গাজরের। কমলা রঙ ছাড়াও বেগুনি, হলুদ, লাল এবং সাদা সহ অন্যান্য রঙেও পাওয়া যায় গাজর। প্রথম দিকে গাজরের রং হত বেগুনি বা হলুদ রঙের। মধ্য ইউরোপে ১৫ বা ১৬ শতকের দিকে বিকশিত হয় কমলা গাজর। প্রাকৃতিক পদ্ধতি ব্যবহার করে চাষ করা হয় জৈব গাজর। এই চাষের পদ্ধতিতে কোনও রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। অন্যদিকে ঐতিহ্যগতভাবে জন্মায় অজৈব গাজর, এই পদ্ধতিতে পোকামাকড়ের উপদ্রব ও রোগ প্রতিরোধ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয় কীটনাশক।

  • গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং আলফা-ক্যারোটিন ও বিটা-ক্যারোটিন নামের দুটি ক্যারোটিনয়েড, যার কারণে গাজর চোখের জন্য খুবই উপকারী।
  • গাজরে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লুটেইন এবং জেক্সানথিন চোখের জন্য খুবই উপকারী, এটি চোখের রেটিনা ও লেন্সের জন্য ভালো।
  • গাজরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা রক্তে শর্করা এবং ইনসুলিনের জন্য খুবই ভালো। কাঁচা বা সামান্য রান্না করা গাজরে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকে, যা চিনির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে ডায়াবেটিস রোগীরাও খেতে পারে গাজর।
  • গাজরে রয়েছে ৮৮ শতাংশ পর্যন্ত জল। এছাড়া গাজরে রয়েছে ফাইবার এবং রুফেজ, এর ফলে গাজর খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকে ওজন।
  • প্রতিদিন ১টি করে গাজর খাওয়ার মাধ্যমে প্রায় ৮০ শতাংশ ক্যালোরি গ্রহণ করা সম্ভব, যার কারণে দীর্ঘ সময়ের জন্য ক্লান্তি বোধ হয় না।
  • রক্তচাপ বেশি হলেও প্রতিদিন ১টি করে গাজর খাওয়া উচিত। গাজরে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া শরীরে সোডিয়াম স্তরের ভারসাম্যও বজায় রাখে গাজর, যার কারণেও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • হার্ট সুস্থ রাখতেও গাজর খুবই ভালো। প্রতিদিন একটি করে গাজর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।