বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে, দুর্বল হয়ে যায় হাড়। ৩০ বছর বয়সের পর হাড়ের ঘনত্ব কমতে শুরু করে, যা খুব বেশি হলে হতে পারে অস্টিওপোরোসিস। ধীরে ধীরে হাড় এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে সামান্য আঘাত বা ধাক্কা ভেঙে যেতে পারে হাড়। তাই ৩০ বছর বয়স থেকে হাড়ের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক হাড়কে সুস্থ এবং শক্তিশালী রাখার সহজ উপায়।
হাড়ের যত্নের জন্য শরীরে প্রয়োজন হয় পুষ্টির। এরজন্য ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুধ, দই, পনির, সবুজ শাক, বাদাম এবং মাছ খাওয়া উচিত। ভিটামিন ডি হাড়কে ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সাহায্য করে। সূর্যালোক, মাছের তেলে পাওয়া যায় ভিটামিন ডি। থাইরয়েডের সমস্যা এবং বিষণ্নতার লক্ষণ কমাতেও সাহায্য করে ভিটামিন ডি। এছাড়া হাড়ের গঠন ও মেরামতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে প্রোটিন। মাংস, ডিম, মসুর ডাল এবং সয়াবিন প্রোটিনের ভালো উৎস। অতিরিক্ত লবণ খেলে হাড়ের ক্যালসিয়াম কমে যায়।
যোগব্যায়াম, সাঁতার কাটা এবং নাচের মতো ব্যায়াম হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তাই সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ বার ব্যায়াম করা উচিত। ধূমপান হাড়ের ঘনত্ব হ্রাস করে অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি বাড়ায় এবং অ্যালকোহল সেবন হাড়ের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করতে পারে। তাই ধূমপান ও মদ্যপান এড়িয়ে চলা উচিত। স্ট্রেস হাড়ের ঘনত্ব কমাতে পারে। যোগব্যায়াম, ধ্যান এবং গভীর শ্বাসের মতো স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট কৌশলগুলি অনুশীলন করা উচিত। এছাড়া প্রতিদিন কমপক্ষে ৭ ঘন্টা ঘুম হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।