প্রতি বছর ১ অক্টোবর পালন করা হয় বিশ্ব নিরামিষাশী দিবস। নিরামিষভোজীর সুবিধার প্রচারের জন্য এবং পশু-ভিত্তিক পণ্য খাওয়া কমাতে অনুরোধ করার জন্য পালন করা হয় এই দিনটি। এছাড়া হৃদরোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির সম্ভাবনা হ্রাস করার মতো নিরামিষ খাবারের গুণাবলী সম্পর্কে মানুষকে শিক্ষিত করা হয় এই দিনে। ১৯৯৪ সালে যুক্তরাজ্যে দ্য ভেগান সোসাইটির তৎকালীন সভাপতি লুইস ওয়ালিস সংগঠনটির প্রতিষ্ঠার ৫০ তম বার্ষিকী এবং "ভেগান" এবং "ভেগানিজম" শব্দের প্রবর্তনের স্মরণে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বিশ্ব নিরামিষাশী দিবস।
শাকসবজি, বীজ, লেবু, ফল, বাদাম এবং শস্যের মতো নিরামিষ খাদ্যের উপর নির্ভর থাকে নিরামিষভোজীদের জীবনধারা। ডিম, দুধ, দুগ্ধজাত খাবার এবং মধুর মতো প্রাণীজ পণ্য, যা কোনও প্রাণীর মৃত্যু বা তার মাংস খাওয়া ছাড়াই পাওয়া যায় সেগুলোও নিরামিষভোজীদের খাদ্যতালিকার অংশ হতে পারে। একটি ভালো এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার জন্য নিরামিষ খাবারের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তাই নিরামিষ খাবারের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে এবং এটিকে প্রচার করার জন্য পালন করা হয় বিশ্ব নিরামিষভোজী দিবস।
অনেক স্থানীয় অনুষ্ঠান, আলোচনা এবং রান্নার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বিশ্ব নিরামিষভোজী দিবসে। পরিবেশগত বিবেচনা, পশু কল্যাণ এবং ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুবিধার উপর জোর দেওয়ার জন্য প্রাণীজ পণ্য ত্যাগ করতে মানুষকে উৎসাহিত করার জন্য পালন করা হয় এই দিনটি। প্রাণীদের জীবন বাঁচাতে এবং পৃথিবী সংরক্ষণে সহায়তা করার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে পালন করা হয় বিশ্ব নিরামিষভোজী দিবস।