
প্রকৃতি আমাদের মায়ের সমান। প্রকৃতি আমাদের জন্ম দিয়েছে এবং বেঁচে থাকার জন্য পুষ্টিও প্রদান করে প্রকৃতি। কিন্তু ধীরে ধীরে মায়ের মতো প্রকৃতিকে হালকাভাবে নিতে শুরু করেছে মানুষ, ভবিষ্যতে যার পরিণতি হতে চলেছে খুবই মারাত্মক। প্রাকৃতিক সম্পদ, গাছপালা, বন্যপ্রাণী, সাগর ও পর্বতের পাশাপাশি প্রকৃতি মানুষকে দেয় খনিজ পদার্থ সহ আরও অনেক সুযোগ-সুবিধা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল আমরা প্রকৃতির কাছ থেকে শুধু নিতে শিখেছি, তার পরিবর্তে প্রকৃতির যত্ন নেওয়া তো দূরের কথা বরং প্রকৃতির ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছি আমরা।
প্রকৃতি থেকে পাওয়া সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল বায়ু, যা আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যম, যার কারণে আমরা বেঁচে থাকি, এই বায়ুকে দূষিত করার কারণ মানবজাতি অর্থাৎ আমরা। এই কারণে পৃথিবীর প্রতি মানবজাতির দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য প্রতি বছর ২৮ জুলাই পালন করা হয় বিশ্ব প্রকৃতি সংরক্ষণ দিবস। মানুষের মধ্যে প্রকৃতি সংরক্ষণের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করা হয় এই দিনে। এই দিনটির ইতিহাস সম্পর্কে কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকলেও সময়ের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রতিনিয়ত খারাপ হচ্ছে পৃথিবীর অবস্থা।
অনেক ধরনের অনুষ্ঠান ও সেমিনারের আয়োজন করা হয় বিশ্ব প্রকৃতি সংরক্ষণ দিবসে। বহু বছর ধরে জলবায়ু পরিবর্তন একটি গুরুতর সমস্যা। বৈশ্বিক উষ্ণতা, দূষণ এবং বিভিন্ন প্রজাতির বিলুপ্তি হওয়ার কারণে ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে প্রকৃতির। এমন পরিস্থিতিতে প্রকৃতি এবং প্রকৃতির সম্পদ রক্ষা করার দায়িত্ব মানবজাতির। আমাদের অনেক অভ্যাসের কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে প্রকৃতির উপর। বিশ্ব প্রকৃতি সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষে প্রকৃতিকে বুঝে তার কল্যাণের জন্য কাজ করা শুরু করা উচিত। মানবজাতি নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করা শুরু করলে ধীরে ধীরে উন্নত হবে আমাদের প্রকৃতি।