প্রতি বছর ১৭ জুলাই পালন করা হয় বিশ্ব ইমোজি দিবস। 'ইমোজি' একটি জাপানি শব্দ, 'ইমোজি' শব্দটি 'ই' এবং 'মোজি' এই দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত। 'ই' শব্দের অর্থ হল ছবি এবং 'মোজি' শব্দের অর্থ চরিত্র। তাই জাপানিরা ইমোজিকে বলে সচিত্র বার্তা। বর্তমান যুগে ইমোজি হয়ে উঠেছে কথোপকথনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশ্বজুড়ে ইমোজি দিবস পালন করার উদ্দেশ্য হল কথোপকথনের এই চমৎকার মাধ্যমটির গুরুত্ব মানুষকে বোঝাতে এবং ব্যবহার করতে সাহায্য করা।
১৯৯৯ সালে জাপানে আবিষ্কৃত হয়েছিল ইমোজি। বিশ্ব ইমোজি দিবস পালন করার কৃতিত্ব যায় ইমোজিপিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা জেরেমি বার্গকে, ২০১৪ সালে ইমোজিপিডিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। সেই থেকে প্রতি বছর ১৭ জুলাই পালন করা হয় 'বিশ্ব ইমোজি দিবস'। ২০১২-২০১৩ সালে ইমোজি এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে যে ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে অক্সফোর্ড অভিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ইমোজি শব্দটি। বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে প্রায় ৯২ শতাংশ মানুষ ব্যবহার করেন ইমোজি।
জাপানি মোবাইল অপারেটিং কোম্পানির একজন প্রকৌশলী শিগেতাকা কুরিতা, ১৯৯৯ সালে প্রথম তৈরি করেন ইমোজি। কুরিতা একই সঙ্গে তৈরি করেছিলেন ১৭৬ ধরণের ইমোজি। তবে ইমোজি ব্যবহার অনুমোদিত হয়েছিল ২০১০ সালে। ইমোজির মাধ্যমে মানুষ সংক্ষেপে নিজের বার্তা পৌঁছে দিতে পারে। অনুভূতি প্রকাশ করার বিষয়ে ইমোজি খুবই সহজ মাধ্যম। নিজের ভালো বা খারাপ মেজাজ প্রকাশ করা যায় এর মাধ্যমে, যার ফলে কথোপকথন হয়ে ওঠে আরও মজাদার। বর্তমান যুগে আনন্দের ও কান্নার ইমোজি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এবং সবার প্রিয় ইমোজি।