ফাইল ছবি (Photo Cradits: Facebook)

প্রতিবছর দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2020) কলকাতায় সবার ছুটি থাকলেও নিরাপত্তার খাতিরে কালঘাম ছোটে পুলিশের। এবারের চিত্র কিছুটা আলাদা। চেয়েও ঠাকুর দেখার লাইনকে দীর্ঘ করতে পারছে না উৎসবপ্রিয় বাঙালি। সৌজন্যে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ এবং অতি অবশ্যই করোনার কাঁটা। এর উপরে জুড়েছে ঝড় বৃষ্টির মতো মহা বিপদ। বোধনের সন্ধ্যায় কলকাতার রাস্তা ফাঁকাই বলা চলে। পুজো মণ্ডপের ১০ মিটারের মধ্যে উৎসাহী কিছু মানুষের ভিড় থাকলেও তা হাতে গোনা। আর পুজো উদ্যোক্তারাও একসঙ্গে অনেককে মণ্ডপের সামনে ভিড় করে দাঁড়াতে দিচ্ছেন না। পাছে বিপদ বেড়ে যায়। সংক্রমণের ঘায়ে রীতিমতো কাঁটা হয়ে আছে শহরটা।

যতটা উৎসাহ নিয়ে নিউমার্কেট চত্বর, ধর্মতলা, হাতিবাগান, গড়িয়াহাটায় পুজোর বাজারে ভিড় জমেছিল ঠিক ততটা অনুৎসাহেই লোকজন ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছে। লালবাজারের তরফে তাই বড় পুজো মণ্ডপগুলির সামনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীদের একাংশকে তুলে নেওয়া হয়েছে। কিছুটা গিয়েছে অপেক্ষাকৃত ছোটো পুজোর নিরাপত্তার দায়িত্বে। বাকিদের আপাতত রিজার্ভে রাখা হয়েছে। শুধু কলকাতা শহরেরই নয় জেলার বারোয়ারি পুজোতেও উদ্যোক্তাদের তরফে জারি হয়েছে করোনা সতর্কতা। ভার্চুয়াল অঞ্জলি যার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়। রাস্তায় ভিড় দেখে পুলিশ মহল কিন্তু ততটাও স্বস্তিতে নেই যতটা রয়েছেন রাজ্য প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। আইনের শাসনকে কি মেপে নিচ্ছে জনতা, অষ্টমী পেরোলেই সবকিছু তোয়াক্কা না করেই রাস্তায় জনস্রোত নামবে না তো? তাই যতক্ষণ না নবমী আসছে, ততক্ষণ লালবাজারের অভিমত অনেকটা, ‘না আঁচালে বিশ্বাস নেই’-এর মতো। আরও পড়ুন-Durga Puja 2020: ছাঁচে নয়, শিল্পীর কর্মদক্ষতায় ফুটে ওঠে রানি রাসমণির বাড়ির দুর্গা প্রতিমার মুখ

তবে তাতে কী গড়িয়া থেকে কলেজ পড়ুয়ার একটি দল চলে এসেছে টালা পার্কের টাকুর দেখতে ঠেলাঠেলির ভিড় বদলে গিয়েছে দূরে তোমারেই দেখির মতো। তবে না পাওয়ার চেয়ে এই অল্প পাওয়াতেই খুশি তরুণ প্রজন্মের দলটি। এ সবের মাঝেই টুকটাক মণ্ডপ দর্শন সেরেছেন অনেকে। কেউ কেউ ব্যারিকেডের সামনে দাঁড়িয়ে মাস্ক সরিয়ে ঠোঁট উল্টোনো মুখ ধরেছেন নিজস্বীতে। আবার সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা দেখলে মুখ ঢেকেছেন মাস্কে। লেকটাউনের ‘নিন্দিত’ বড় পুজোর স্বেচ্ছাসেবকেরাও সমানে মাস্ক পরার হুঁশিয়ারি দিয়ে গিয়েছেন।