১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২শে শ্রাবণ, প্রয়াত হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কবি চেয়েছিলেন, তাঁর শ্রাদ্ধ হবে শান্তিনিকেতনে ‘ছাতিম গাছের তলায়, বিনা আড়ম্বরে বিনা জনতায়’। কবির প্রয়াণ দিবসে শোকসভা করে নয়, বরং নতুন প্রাণের আবাহনের মধ্য দিয়েই তাঁকে অমর করে রেখেছে বিশ্বভারতী।
এদিন যথাযথ মর্যাদায় শান্তিনিকেতনে ২২ শ্রাবণ পালন করা হয়। ভোর ৫টা থেকেই গৌরপ্রাঙ্গণে বৈতালিক, উপাসনা গৃহে মন্দির, উদয়ন বাড়িতে পুষ্পপ্রদান করা হয়। বিকেল ৪টেয় বাংলাদেশে বৃক্ষ রোপনের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির জন্য পুরনো মেলার মাঠে অনুষ্ঠান স্থানান্তরিত করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সন্ধ্যায় স্মরণ অনুষ্ঠান রয়েছে লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে। ২২ থেকে ৩০শে শ্রাবণ বিশ্বভারতীর কর্মীমণ্ডলীর পক্ষ থেকে বৃক্ষরোপণ, হলকর্ষণ, রবীন্দ্রসপ্তাহ, স্বাধীনতা দিবস, বর্ষামঙ্গল উপলক্ষে রয়েছে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
নিজের জীবনকালেও রবীন্দ্রনাথ বহুবার পালন করেছেন বৃক্ষরোপণ উৎসব। ১৩৪৯ বঙ্গাব্দ থেকেই বাইশে শ্রাবণ দিনটিতেই বৃক্ষরোপণ উৎসব পালন করে আসছে শান্তিনিকেতন। এবারেও আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই বৃক্ষচারা রোপিত হবে পুরনো মেলার মাঠ চত্বরে।