পাঁচদিন ধরে চলা দিওয়ালি উৎসবের  দ্বিতীয় দিন হল ছোট দিওয়ালি বা নরক চতুর্দশী। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীতে নরক চতুর্দশী পালিত হয়। নরক চতুর্দশী দীপাবলির এক দিন আগে এবং ধনতেরসের একদিন পরে উদযাপিত হয়। তবে এবার নরক চতুর্দশী ও দীপাবলি একই দিনে পালিত হবে। এটি ভূত চতুর্দশী, রূপ চৌদাস, নরকা চৌদাস, রূপ চতুর্দশী বা নরকা পূজা নামেও পরিচিত। এই দিনে মৃত্যুর দেবতা যমরাজ ও শ্রীকৃষ্ণের পূজা করা হয়। রূপ চৌদশের সন্ধ্যায় ১৪ প্রদীপ জ্বালিয়ে চারপাশ আলোকিত করা হয়।

ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নরকাসুর নামে এক রাক্ষসকে বধ করেছিলেন। অন্যদিকে, অন্য একটি বিশ্বাস অনুসারে, নরক চতুর্দশীতে সকালে স্নান করে যমরাজের পূজো এবং সন্ধ্যায় প্রদীপ দান করলে নরকের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং অকাল মৃত্যুর ভয় থাকে না।

তিথি অনুযায়ী কত তারিখে এবং কোন সময়ে নরক চতুর্দশী পালিত হবে? 

পঞ্জিকা অনুসারে, কার্তিক কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথি ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যা সন্ধ্যা ৬টা ০৩ মিনিট থেকে শুরু হচ্ছে। অন্যদিকে চতুর্দশী তিথি শেষ হবে ২৪ অক্টোবর বিকেল ৫টা ২৭ মিনিটে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী ২৪ অক্টোবর উদয় তিথি অনুযায়ী নরক চতুর্দশী পালিত হবে।

নরক চতুর্দশীর পূজা করবেন কিভাবে?

সূর্যোদয়ের আগে স্নান করে এবং পরিষ্কার কাপড় পরিধান করে নরক চতুর্দশীর দিন যমরাজ, শ্রী কৃষ্ণ, কালী মাতা, ভগবান শিব, হনুমান জি ও শ্রী হরি বিষ্ণুর বামন রূপের বিশেষ পূজা করা হয়। বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে এই সমস্ত দেব-দেবীর মূর্তি স্থাপন করে তাদের পূজা করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে নরক চতুর্দশীর দিন যমদেবের পূজা করলে অকালমৃত্যুর ভয় দূর হয়।