“আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোক মঞ্জীর;
ধরণীর বহিরাকাশে অন্তরিত মেঘমালা;
প্রকৃতির অন্তরাকাশে জাগরিত জ্যোতির্ময়ী জগন্মাতার আগমন বার্তা৷”
মহালয়ার ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই বাঙালির আবেগ বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে মহালয়া শোনা যেন দুর্গাপুজোর সূচনার এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। ভোর চারটেতেই রেডিওর সামনে বসে পড়েছেন অনেকে। কেউ টিভিতে মহালয়া দেখছেন।স্মার্টফোন আর ইন্টারনেটের যুগেও রেডিওয় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর মহালয়া বাঙালির কাছে এক নস্টালজিয়া। এই ভোর থেকেই যেন পুজোর শুরু হয়ে যায়। পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে, শুরু হয় দেবীপক্ষ। গঙ্গার ঘাটে নামে প্রচুর মানুষের ঢল। মহালয়ার দিন পিতৃ পুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করার রীতি প্রচালিত আছে আর এদিনই দেবীর দুর্গার চক্ষুদান হয়।
মহালয়া মানেই দুর্গা পুজোর দিন গোনা শুরু হয়ে যাওয়া। বর্তমানে অবশ্য মহালয়া থেকেই পুজোর শুরু হয়ে যাওয়া। মহালয়ার দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। মহালয়া শব্দটির অর্থ, মহান আলয় বা আশ্রম। এক্ষেত্রে দেবী দুর্গাই হলেন, সেই মহান আলয়। আজকের এই বিশেষ দিনে রইল সকলের জন্য শুভেচ্ছা বার্তা-