আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। রাত পোহালেই উপস্থিত মহালয়ার ভোর (Mahalaya 2020)। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের (Virendra Krishna Bhadra) গলায় সেই শাশ্বত পাঠ শোনার পরই বাঙালির ঘরে প্রবেশ করবে দুর্গাপুজো (Durga Puja 2020)। মনের ভিতর ঘরে বেজে উঠবে আনন্দ ধ্বনি। ঘাটে ঘাটে শুরু হয়ে যাবে তর্পণ (Pitri tarpan)। পিতৃপক্ষ শেষ হয়ে সূচনা হবে দেবীপক্ষের। উমা (Uma) আসবেন ঘরে। এ বছর মহালয়া বাংলার ১৪২৭ সালের ৩১ ভাদ্র অর্থাৎ ইংরেজির ১৭ সেপ্টেম্বর।
মহালয়া কবে? এর গুরুত্ব কী?
এ বছরের মহালয়া ১০ আশ্বিন ১৪২৬, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শনিবার। এরপরই সূচনা হয় দেবীপক্ষের। এবছর দেবীর ঘোটকে আগমন ও গমন। ত্রেতা যুগে ভগবান শ্রীরামচন্দ্র অকালে দেবিকে আরাধনা করেছিলেন লঙ্কা জয় করে সীতাকে উদ্ধারের জন্য। আসল দুর্গা পুজো করা হয় বসন্তে , সেটাকে বলা হয় বাসন্তি পুজা। শ্রীরামচন্দ্র অকালে অসময়ে পুজো করেছিলেন বলে এই শরতের পুজাকে দেবীর অকাল-বোধন বলা হয়।
সনাতন ধর্মে কোন শুভ কাজ করতে গেলে বিবাহ করতে গেলে প্র্রয়াত পূর্ব পুরুষের, যাদের পিতা-মাতা মারা গিয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে সমগ্র জীব-জগতের জন্য তর্পণ করতে হয়, অঞ্জলি প্রদান করতে হয় । তর্পণ মানে খুশি করা । ভগবান শ্রীরাম লঙ্কা বিজয়ের আগেও এইদিনে এমনই করেছিলেন। সেই অনুসারে যারা পিতৃ- মাতৃহীন তাঁরা তাঁদের পিতা, মাতার উদ্দেশ্যে আত্মার শান্তি কামনা করে। সনাতন ধর্ম অনুসারে প্রয়াত আত্মাদের সমাবেশকে মহালয় বলা হয়।এই দিনটিতে তাঁদের স্মরণের মধ্যে দিয়ে আত্মার তৃপ্তি লাভ করানো হয়। মহালয়ার এই দিনে অশুভ শক্তির বিনাশ হয়ে জাগরিত হবে শুভ শক্তি।
মহালয়া ২০২০ নির্ঘন্ট
এ বছর বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৬ সেপ্টেম্বর বাংলা ৩০ ভাদ্র, ১৪২৭,বিশ্বকর্মা পুজো। পরের দিন ১৭ সেপ্টেম্বর মহালয়া। ভোর থেকে বিকেল ৪ টা ৩০ পর্যন্ত তর্পণের সময়। গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলা ৩০ ভাদ্র, ১৪২৭ বিশ্বকর্মা পুজো। ওই দিনই মহালয়া। ভোর ৫ টা ২৫ থেকে বিকেল ৪ টা ৩৫ পর্যন্ত পুণ্যতর সময়। সকাল ৭ টা ৪২ থেকে দুপুর ১ টা ১৮ পর্যন্ত পুণ্যতম সময়।