করওয়া চৌথের (Karwa Chauth) উপবাস প্রতিটি বিবাহিত মহিলার জন্য অত্যন্ত বিশেষ এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। কিংবদন্তি অনুসারে, ভগবান কৃষ্ণ দ্রৌপদীকে এই উপবাস সম্পর্কে বলেছিলেন। দৃক পঞ্জিকা অনুসারে প্রতি বছর কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থী তিথিতে করওয়া চৌথ অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে পালিত হয়। বাংলা পঞ্জিকা মতে এখনও আশ্বিন চললেও বৈদিক পঞ্জিকা অনুসারে কোজাগরী পূর্ণিমার পরের দিন থেকেই শুরু হয়েছে কার্তিক মাস। ৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৫৪ মিনিটে কার্তিক কৃষ্ণা চতুর্থী পড়বে। চতুর্থী ছেড়ে যাবে ১০ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধে ৭টা ৩৮ মিনিটে। চাঁদ দেখে যেহেতু এই ব্রত ভঙ্গ করতে হয়, তাই ১০ অক্টোবরই পালন হবে করবা চৌথ।
করবা চৌথ (Karwa Chauth Moon Sighting Time) অনেক জায়গায় করক চতুর্থী নামেও পরিচিত। মূলত উত্তর ও পশ্চিম ভারতে করবা চৌথ পালনের বিধি আছে। বিবাহিত মহিলারা স্বামীর মঙ্গল কামনা করে সারাদিন নির্জলা উপবাস রাখেন। সূর্যোদয় থেকে উপবাস শুরু হয়। সন্ধ্যায় চন্দ্রদেবের উপাসনা করা হয়। এরপর চালনির মধ্যে দিয়ে চাঁদ দেখে স্বামীর মুখ দর্শন করতে হয়। স্বামীর হাত থেকেই খাবার ও জল খেয়ে উপবাস ভঙ্গ করেন স্ত্রীরা। উপবাসের দিন সূর্য ওঠার আগে শাশুড়ির রান্না করা খাবার খেয়ে উপবাস শুরু করতে হয়। উপবাস শুরুর আগে এই শেষ খাবারকে বলে সারগি।করবা চৌথে লাল শাড়ি বা লেহেঙ্গা পরে, হাতে মেহেন্দি লাগিয়ে, গয়নাগাটি পরে সাজেন মহিলারা। পারিবারিক প্রীতি ও ঐতিহ্যকে এক সূত্রে বেঁধে রাখার মাধ্যম হিসেবেই এই প্রথাটি পালন করা হয়।