Kartick Purnima Image (Photo Credit:X)

কার্তিক পূর্ণিমাকে সমস্ত পূর্ণিমার মধ্যে সবচেয়ে বড় পূর্ণিমা বলে মনে করা হয়। ২০২৫ সালে কার্তিক পূর্ণিমা ৫ নভেম্বর পড়েছে।কার্তিক পূর্ণিমা তিথিটি দেব দীপাবলি নামেও পরিচিত। মনে করা হয় এই দিনে শিব ত্রিপুরাসুরকে বধ করার পর দেবতারা দীপাবলি উৎসব পালন করেছিলেন এবং পবিত্র জলে স্নান করেছিলেন।তাই এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই বিশেষ দীপাবলির দিন, সমস্ত দেবতারা এই পবিত্র নদীগুলিতে অধিবাস করেন।এই দিনে কিছু বাস্তু টিপস মেনে চললে মা লক্ষ্মী তুষ্ট হন। তাঁর আশীর্বাদে পরিবারে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে।

১. প্রদীপ প্রজ্জ্বলন (দীপদান): দেব দীপাবলির সন্ধ্যায় বাড়ির কয়েকটি বিশেষ স্থানে প্রদীপ জ্বালানো অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এর প্রভাবে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়া যায় এবং আর্থিক সমস্যা দূর হয়।

২. নেতিবাচক জিনিস দূর করা: বাড়ি থেকে সমস্ত ভাঙা, নষ্ট বা অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলুন। বিশেষত ভাঙা কাঁচ, বন্ধ ঘড়ি, খারাপ আসবাব বা দেব-দেবীর ভাঙা মূর্তি ঘরে রাখা অশুভ বলে মনে করা হয়। কার্তিক পুজো বা দেব দীপাবলির আগে এগুলো বিক্রি করে দিতে পারেন অথবা ফেলে দিতে পারেন।

৩. অর্থ রাখার দিক: বাস্তু অনুসারে, টাকা-পয়সা, গয়না বা মূল্যবান সামগ্রী রাখার স্থান (যেমন আলমারি বা লকার) উত্তর দিকে রাখুন। উত্তর দিক হল ধনদেবতা কুবেরের দিক।

৪. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: দেব দীপাবলির আগে সম্পূর্ণ বাড়িঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। বাস্তু মতে, যেখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় থাকে, সেখানেই মা লক্ষ্মী বাস করেন।

এই দিনে সকাল থেকে কিছু নিয়ম মেনে চললে জীবনে উপকার পাওয়া যায়। আসুন জেনে নিই এ সম্পর্কে।

  • কার্তিক পূর্ণিমায় পবিত্র নদীতে স্নান করাকে শুভ বলে মনে করা হয়। যেতে না পারলে ব্রহ্ম মুহূর্তে ঘুম থেকে উঠে স্নানের জলে গঙ্গাজল যোগ করে স্নান করুন।
  • তুলসীর পুজো করুন এবং জল নিবেদন করুন, অশ্বত্থ গাছের পুজো করুন, শিবলিঙ্গের পুজো করুন এবং ভোলেনাথকে জল নিবেদন করুন এবং চন্দ্রকেও জল অর্পণ করুন।
  • কার্তিক পূর্ণিমার দিনে সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য এই দিনে স্নান করতে ভুলবেন না, দেবতাদের আশীর্বাদ চিরকাল থাকবে আপনার উপর।
  • স্নানের পাশাপাশি দানেরও গুরুত্ব রয়েছে এই দিনে। কার্তিক পূর্ণিমার দিন অবশ্যই দান করবেন। খাদ্য দান ও বস্ত্রদানের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে এই দিন।