প্রতি বছর ২৯ জুলাই সারা বিশ্বে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস। বাঘের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার কারণ সম্পর্কে জানা এবং তাদের সংরক্ষণ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার জন্য পালন করা হয় এই দিনটি। আমাদের বাস্তুতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে এবং বাস্তুতন্ত্রের বৈচিত্র্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বাঘ। তাই বাঘ বেঁচে না থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পুরো বাস্তুতন্ত্র। তাই বাঘের গুরুত্ব বোঝা খুবই জরুরি।
২০১০ সালে প্রথমবার পালন করা হয় আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস। রাশিয়ার পিটার্সবার্গে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন চলাকালীন ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্বের প্রায় ১৩টি দেশ অংশ নেয় এই সম্মেলনে। বাঘ দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়, বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল সম্মেলনে উপস্থিত সমস্ত দেশ। বাঘ দিবস পালন করার উদ্দেশ্য হল বাঘ সংরক্ষণ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি তাদের আবাসস্থল রক্ষা ও সম্প্রসারণ করার বিষয়ে আলোকপাত করা।
পরিবেশের ক্ষতি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অবৈধ শিকারের মতো অনেক কারণের জন্য বর্তমানে বাঘের সংখ্যা ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। ভারত সরকার বাঘের সুরক্ষার জন্য ১৯৭৩ সালে শুরু করা হয় প্রজেক্ট টাইগার। এই প্রকল্পের অধীনে সংরক্ষণ করা হয় অনেক বাঘ। এই প্রজেক্টের জন্য অনেক ধরনের নীতি তৈরি করা হয়। এই নীতি অনুযায়ী, বাঘ শিকার বন্ধ করে তাদের সংখ্যা বাড়ানোর কাজ করার উল্লেখ করা হয়। ভারতে বাঘ সংরক্ষণাগার রয়েছে মোট ৫৪টি এবং বর্তমানে বাঘের সংখ্যা বাড়ছে।