সমাজে নারী-পুরুষ উভয়েরই নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। নারী-পুরুষ ছাড়া এই পৃথিবী অসম্পূর্ণ। সমাজে নারীদের গুরুত্ব এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যাগুলি তুলে ধরার জন্য যেমন প্রতি বছর পালন করা হয় নারী দিবস, ঠিক তেমনই পুরুষদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রতি বছর পালন করা হয় পুরুষ দিবস। প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর পালন করা হয় 'আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস'। এই দিনটি পালন করার উদ্দেশ্য হল সমাজ, সম্প্রদায়, পরিবার, বিবাহ, শিশু যত্ন এবং পরিবেশে পুরুষদের অবদান উদযাপন করা।
সমাজে পুরুষদের প্রতি বৈষম্য, শোষণ, হয়রানি ও সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া এবং তাদের অধিকার আদায় করাই পুরুষ দিবস পালন করার মূল উদ্দেশ্য। এছাড়াও এই দিনের উদ্দেশ্য হল লিঙ্গ সমতার প্রচার করা। প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট থিমের উপর ভিত্তি করে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস। ১৯৯৯ সালে প্রথমবার পালন করা হয় আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস। সেই বছর, ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক ডঃ জেরোম তিলক সিং তার বাবার জন্মদিন পালন করেছিলেন এই দিনে।
একই দিনে ডঃ জেরোম তিলক সিং সকলের সামনে পুরুষদের আওয়াজ তুলে তাদের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেন। এরপর থেকে সারা বিশ্বে প্রতি বছর পালন করা হয় 'আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস'। ভারতের প্রথমবার আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস পালন করা হয় ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর। পুরুষ দিবস পালন করার মূল উদ্দেশ্য হল পুরুষদের মঙ্গল, স্বাস্থ্য এবং সংগ্রামের কথা মানুষের সামনে তুলে ধরা। সমাজে পুরুষরা যে বৈষম্যের সম্মুখীন হয় তার জন্য উৎসর্গ করা হয় এই দিনটি। এই দিনে মানুষকে বলা হয় নারী-পুরুষ উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ।