দুর্গাপূজার আর মাত্র বাকি ৬০ দিন, ইতিমধ্যেই কুমোরটুলি থেকে বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রস্তুত বিভিন্ন শিল্পীর হাতে তৈরি দেবী দুর্গার মূর্তি। কুমোরটুলির নামকরা শিল্পী মিন্টু পাল সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন- যে প্রতি বছর দুর্গা পূজা উত্সবের তিন-চার মাস আগে, কুমোরটুলি থেকে ফাইবারগ্লাস দুর্গা প্রতিমাগুলি বিদেশে পাঠানো হয়। বিদেশে পাঠানো প্রতিমা সাধারণত ফাইবারগ্লাস দিয়ে তৈরি।
শিল্পী মিন্টু পাল বলেন এই বছর দুর্গা মূর্তির চাহিদা বেশি। গত বছর ১৪টা মূর্তি বানালেও এই বছর তাঁর হাতে তৈরি হয়েছে ২১ টি দুর্গা মূর্তি। তার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অর্ডার হল স্পেনের ১০ ফুটের ঠাকুর। বিদেশের মাটিতে যে সমস্ত দুর্গা প্রতিমা পাড়ি দেবে শিল্পী মিন্টু পালের হাত ধরে তার মধ্যে স্পেনের দশ ফুটের উচ্চতা বিশিষ্ট এই দুর্গা প্রতিমাই সবথেকে বড় বলে জানাচ্ছেন শিল্পী। এবার প্রথম দুবাই থেকেও প্রতিমার বায়না পেয়েছেন তিনি।খরচ নিয়ে শিল্পীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান ফাইবারের মূর্তি তৈরিতে মাটির মূর্তির তিনগুণ খরচ হয়। যার ফলে তা ১.৫০ লাখ থেকে ২লাখ টাকার মত দাম পড়ে যায়।এবং সেটা পাঠাতে আরও ১ লাখ টাকা খরচ হয়। তাই বিদেশে মূর্তির অর্ডার নিলে মূর্তি ও পাঠানো মিলিয়ে ৩ লাখ টাকার মত খরচ পড়ে যায়।
#WATCH | Kolkata, West Bengal: With just a few months left for Durga Puja, idols of Goddess Kali are ready to be sent abroad from Kolkata’s Kumartuli. (07.08) pic.twitter.com/6JwgNfRo5a
— ANI (@ANI) August 7, 2024
এই বছর গোটা কুমোরটুলিতে ২০০ এর বেশি মূর্তির অর্ডার পেয়েছেন শিল্পীরা। নিউইয়র্ক, কানাডা, জার্মানি, বার্লিন, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি দুবাই, সিঙ্গাপুর, শারজা থেকেও অর্ডার এসেছে। তবে এবার সব থেকে বেশি অর্ডার এসেছে আমেরিকা থেকে। যে মূর্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যায় সেগুলো জাহাজে করে পাঠানো হয়, তাই তাঁর খরচও কম এবং জাহাজে করে বড় মূর্তি পাঠানো সহজ। তবে সব জায়গায় জাহাজে পাঠান যায় না সেক্ষেত্রে ছোট মূর্তিগুলোকে ফ্লাইটে পাঠানো হয়। তবে ফ্লাইটে পাঠানোর খরচ অনেক বেশি। তাই যে মূর্তি জাহাজে করে পাঠানোর থাকে সেগুলো দুই-তিন মাস আগেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাতে প্রায় ৬০-৭০ দিন সময় লাগে। এশিয়ার অন্যান্য দেশে দুর্গা প্রতিমা পাঠাতে ২০-২৫দিন সময় লাগে।