পুজোর বাকি আর কয়েকটা দিন। এরপরেই কৈলাশ থেকে ছেলেপুলেদের নিয়ে বাপির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন 'মা'। শরতের মেঘলা আকাশ, শিউলি ফুলের গন্ধ জানান দিচ্ছে সে কথা। আর এরই মধ্যে নিজেদের নতুন নতুন চিন্তাভাবনা নিয়ে প্যান্ডেলের কাজ শুরু করেছে দুর্গা পুজো কমিটি এবং ক্লাবগুলি। কলকাতার পুজো মানেই থিমের দৌড়ে কে এগিয়ে কে পিছিয়ে। লেটেস্টলি বাংলার পেজে দেখতে থাকুন কলকাতার সেরা পুজোগুলোর খুঁটিনাটি ঃ-
৯৭ পল্লী চন্ডীতলা সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটিঃ-
হিন্দু ধর্মে শঙ্খের ধ্বনি অত্যন্ত পবিত্র। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে গোটা যুদ্ধক্ষেত্র জুড়ে ধ্বনিত হয়েছিল পঞ্চপান্ডব ও শ্রীকৃষ্ণের শঙ্খধ্বনি। মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধযাত্রার আগে দেবী দুর্গাকেও শঙ্খতে ফুৎকার দিতে দেখা যায়। পুরাণ হোক বা প্রাচীন কাহিনী হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন কর্মকান্ডের সাথে শঙ্খ ওতোপ্রতোভাবে জড়িত।এমনকি পূজা অর্চনা ও যে কোনো শুভ কাজের সময়ে শঙ্খধ্বনি করা হয়। কিন্তু কালের নিয়মেই আজ শঙ্খের ব্যবহার ও ধীরে ধীরে কমে আসছে। আজকাল আর সন্ধ্যাবেলায় শোনা যায়না শঙ্খের ধ্বনি, শাখার ব্যবহারও আজ বিলুপ্ত প্রায়।
কিন্তু ভুলতে চাইলেই কি আর পুরানোকে ভোলা যায়? শিল্পীর কল্পনায় বারবার চলে আসে তাঁর অবতারণা। এবার সেই শঙ্খকে ভিত্তি করেই সেজে উঠছে ৯৭ পল্লী চন্ডীতলা সার্বজনীন দুর্গোৎসব এর মন্ডপ।৭৮ তম বর্ষের এবারের তাঁদের থিম শঙ্খচিলের ভাসিয়ে ডানা। সমগ্র থিমের ভাবনা ও রূপায়নে আছেন শিল্পী শঙ্কর দে। শঙ্খ, ঝিনুক, কড়ি, শাখা, পলার মত হারিয়ে যাওয়া উপকরন দিয়ে তৈরি হচ্ছে মন্ডপ। থিম ভাবনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিমা গড়েছেন দীপেন মণ্ডল। আবহ তৈরী করছেন শিল্পী ভার্মা।
কবি যেমন শঙ্খচিলের ডানায় ভর করে এপার ওপার বাংলায় ভেসে বেরানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন, দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জের ৯৭ পল্লী চন্ডীতলা সার্বজনীন দুর্গোৎসব সেই স্বপ্নের ডানায় ভর করেই এক অন্য আঙ্গিকে মন্ডপসজ্জায় ব্রতি হয়েছে এইবার।