পুজো মানে পাট ভাঙা নতুন জামার গন্ধ। অঞ্জলির সকালে দুরন্ত তোড়জোর । পুজো মানে ধুনুচি নাচ, পুজো স্পেশাল গান। অষ্টমীর বিকেলে ঢাকের তালে কোমর দুলিয়ে নাচ। পুজো মানেই ধুতি- পাঞ্জাবী, সাদা শাড়ি- লাল পাড়। রাস্তা জুড়ে বেলুন আর গ্যাস বেলুনে কচি কাঁচাদের ভিড়। পুজোর কদিন জমিয়ে পেট পুজো আর পুজো প্রেম। টুকরো টুকরো কিছু মুহূর্ত নিয়ে একবছরের মত স্মৃতিবন্দি করে বাঙালি। তবে এবার পুজো অন্যবারের থেকে আলাদা। করোনা মহামারীর আবহে পুজো হচ্ছে এটাই বড় কথা। তাই আমাদের সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। বাঙালি মানেই ভোজন রসিক। পুজোর কটা দিন জমিয়ে খাওয়া দাওয়া না করলে পুজো কিন্তু সম্পূর্ণ হয় না। মাংস, লুচি, ইলিশ, বিরিয়ানি, কবিরাজি, খিচুড়ি এগুলো তো থাকেই। তবে প্যান্ডেল হপিঙে গিয়ে স্ট্রিট ফুড না খেলেও কিন্তু পেটের পুজো সম্পূর্ণ হবে না।
কলকাতাকে স্ট্রিট ফুডের হাব (Kolkata Street Food Hub) বলা যায়। হেন কোনও খাওয়ার নেই যা কলকাতার রাজপথে খুঁজলে পাওয়া যাবে না। আরও পড়ুন, প্যান্ডেল হপিংয়ের তাড়া? এই সমস্ত খাবার কম সময়ে বানিয়ে ছুটুন মণ্ডপে; দীর্ঘক্ষণ ভরা থাকবে পেট। আরও পড়ুন: Durga Puja 2020: দুর্গাপুজোয় মন মাতানো সুস্বাদু বাঙালি খাবার খেতে যেতেই পারেন 'তাজ বেঙ্গল', 'ভিভান্ত'-এ
এরকম স্ট্রিট ফুডের মধ্যে পথচলতি যে খাবারের দোকান বা ষ্টলগুলি পুজোর সময় চোখে পড়ে সেগুলি হল: ফুচকা (Fuchka), রোল- চাউমিন (Roll-Chow mein), চাট- ভেলপুরি (Chaat Bhel Puri), ফিশ ফ্রাই (Fish Fry), ফিশ ফিঙ্গার (Fish Finger), চিকেন পকোড়া (Chicken Pakoda), চিকেন ললিপপ (Chicken Lolipop), মোমো (Momo), আইসক্রীম (Ice Cream), মোগলাই (Moglai)। পুজোর সময় হোটেল, রেস্তোরাঁজুড়ে চরম ভিড়ের চাপ থাকে। তাই এই ভিড় এড়িয়ে গিয়ে রাস্তাতেই স্ট্রিট ফুড খেয়ে রাত্রের ডিনারটা সেরেই ফেলতে পারেন।
এগ রোল, ফ্রাইড রাইস, বিরিয়ানি এগুলি পুজোয় রাস্তায় স্টলে সহজেই পাওয়া যায়। তবে কতটা তাজা খাওয়ার পাওয়া যাবে বা গুণমান কেমন হবে তা আপনাকেই বিচার করে নিতে হবে। তাই আর দেরি না করে তালিকা সাজিয়ে ফেলুন আপনি কবে কোন কোন স্ট্রিট ফুডটি খাচ্ছেন। এছাড়াও কোথাও কোথাও স্পেশাল স্টল দেওয়া হয় পুজো মণ্ডপগুলিতে। যেখানে বাংলার প্রসিদ্ধ মিষ্টি থেকে বিভিন্নরকম চপ তেলেভাজার বিক্রি হয় রমরমিয়ে।