বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই বড়দিন বা ক্রিসমাস প্রধান উৎসব হিসেবে পালিত হয়। এই “ক্রিসমাস” শব্দটি এসেছে প্রাচীন ইংরেজী ক্রিস্টেস ম্যাসেস থেকে যার অর্থ “ক্রিসমাস ভর”। একটি খ্রিষ্টীয় ধর্মানুষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও, একাধিক অ-খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ও মহাসমারোহে বড়দিন উৎসব পালন করে। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে উৎসবের আয়োজনে প্রাক-খ্রিষ্টীয় ও ধর্মনিরপেক্ষ বিষয়ভাবনার সমাবেশও দেখা যায়।অ-খ্রিষ্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ কয়েকটি দেশেও মহাসমারোহে বড়দিন উদযাপিত হয়। ভারত তার ব্যাতিক্রম নয়। কলকাতার পার্ক স্ট্রিটও নিজেকে সাজিয়ে নেয় আলোর সাজে। অন্যান্য দেশগুলিতে সংখ্যালঘু খ্রিষ্টান অথবা বৈদেশিক সংস্কৃতির প্রভাবে বড়দিন উদযাপন শুরু হয়। তবে আবার চিন, জাপান, সৌদি আরব, আলজেরিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, ইরান, তুরস্ক ও উত্তর কোরিয়ার মতো কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দেশে বড়দিন সরকারি ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয় না।
উপহার প্রদান, সংগীত, বড়দিনের কার্ড বিনিময়, গির্জায় ধর্মোপাসনা, ভোজ, এবং বড়দিনের বৃক্ষ, আলোকসজ্জা, মালা, মিসলটো, যিশুর জন্মদৃশ্য, এবং হলি সমন্বিত এক বিশেষ ধরনের সাজসজ্জার প্রদর্শনী আধুনিককালে বড়দিন উৎসব উদ্যাপনের অঙ্গ।ঊনবিংশ শতাব্দীতে পোইনসেটিয়া নামে মেক্সিকোর একটি গাছ (Tree) বড়দিনের প্রথার সঙ্গে যুক্ত হয়। অন্যান্য জনপ্রিয় হলিডে গাছ হল হলি, মিসলটো, লাল অ্যামারিলিস, ও বড়দিনের ক্যাকটাস। বড়দিনের বৃক্ষের সঙ্গে মালা ও বিভিন্ন চিরসবুজ পাতা দিয়েও বাড়ির ভিতর সাজানো হয়। কোনও কোনও দেশে ফাদার খ্রিষ্টমাস (উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও আয়ারল্যান্ডে সান্টাক্লজ) কর্তৃক ছোটোদের জন্য বড়দিনে উপহার আনার উপকথাটি বেশ জনপ্রিয়।
এই শুভ দিনের প্রাক মুহুর্তে 'লেটেস্টলি' (LatestLY) আপনাদের জন্য সাজিয়ে এনেছে শুভেচ্ছা-পত্র (Wish Card)। আপনার কাছের মানুষদের পাঠিয়ে দিন এই সমস্ত শুভেচ্ছা বার্তাগুলি। আর ভাগ করে নিন মনের কোণে সাজিয়ে রাখা অনুভূতি (Emotion)।