কড়া নাড়ছে বড়দিন। রাত পোহালেই আনন্দ উৎসব। ক্রিশ্চান ধর্মাবলম্বীদের (Christian) সবচেয়ে বড় উত্সব হলেও শুধু ক্রিশ্চানরা নন, গোটা বিশ্বের অন্যান্য ধর্মের মানুষও এই দিনটি পালন করে থাকেন। ২৫ ডিসেম্বর কেক (Cake) কাটা বা আলো দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো আমাদের প্রত্যেক বছরের অভ্যেস। বড়দিনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত এই ক্রিসমাস ট্রি। কিন্তু কেন বড়দিন বলতেই আলোর মালায় সাজানো এই ক্রিসমাস ট্রি আমাদের চোখে ভেসে ওঠে, সেটা জানেন?
মনে করা হয়, হাজার হাজার বছর আগে উত্তর-ইওরোপে (North-Europe) প্রথম ক্রিসমাস ট্রি-র প্রথা শুরু হয়। সুখ-সমৃদ্ধির প্রতীক মনে করা হয় এই গাছকে। উত্তর-ইওরোপের মানুষ বিশ্বাস করতেন, বাড়িতে চিরসবুজ এই ফার গাছ লাগালে অশুভ শক্তি দূরে সরে যায়। সেখান থেকেই বড়দিনে ক্রিসমাস ট্রি (Christmas Tree) সাজানোর প্রথা শুরু হয়। আর এখন তো আলোর মালার সঙ্গে খেলনা, চকোলেট, ঘণ্টা সবই ঝুলিয়ে দেওয়া হয় ক্রিসমাস ট্রি-তে। আরও পড়ুন: Christmas 2019: এই বড়দিনে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন সুজির কেক
ষোড়শ শতকে আধুনিক ক্রিসমাস ট্রি প্রথম জার্মানিতে দেখা যায়। আঠেরোশও শতকে প্রায় গোটা বিশ্বেই ক্রিসমাস ট্রি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। যীশু খৃস্টের (Jesus Christ) জন্মের সঙ্গেও ক্রিসমাস ট্রি-র যোগ রয়েছে। যীশুর জন্মের পর যাঁরা তাঁর বাবা-মা জোসেফ ও মেরিকে অভিনন্দন (Congratulations) জানিয়েছিলেন, তাঁরা নিজেদের বাড়ির এই চিরসবুজ ফার গাছ আলো দিয়ে সাজিয়ে দেন। সেই থেকে যীশুর জন্মদিনে এই গাছ আলোর মালায় সাজানোর প্রথা প্রচলিত। এই গাছ আদম ও ইভের খেলার জন্য প্রথম পোঁতা হয়েছিল।