ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, জিকা ভাইরাসের পাশাপাশি একটি নতুন ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। গুজরাট ও রাজস্থানে প্রভাব বিস্তার করেছে চাঁদিপুরা ভাইরাস। মাত্র দুই দিনে এই ভাইরাসের কারণে মৃত্যু হয়েছে ৬ শিশুর। প্রতিনিয়ত গুজরাট ও রাজস্থানের পরিবেশ হয়ে উঠেছে ভয়াবহ। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক চাঁদিপুরা ভাইরাস কী এবং চাঁদিপুরা ভাইরাসের লক্ষণ সহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

চাঁদিপুরা ভাইরাস একটি বিরল এবং বিপজ্জনক রোগজীবাণু, এই ভাইরাস জ্বরের মতো উপসর্গের পাশাপাশি সৃষ্টি করে তীব্র এনসেফালাইটিস (মস্তিষ্কের প্রদাহ)। চাঁদিপুরা ভাইরাস ছড়ায় মশা, টিক্স এবং বালুমাছির মাধ্যমে। গবেষণায় জানা গেছে যে চাঁদিপুরা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এই ভাইরাসের লক্ষণগুলি। চাঁদিপুরা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রথম ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিউরোলজিক সমস্যা এবং সম্ভাব্য মারাত্মক অটোইমিউন এনসেফালাইটিস হতে পারে। এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মৃত্যুর হার রয়েছে ৫৬ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত।

চাঁদিপুরা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রথমে জ্বর হয়। এরপর খিঁচুনি, ডায়রিয়া এবং বমি হওয়ার মতো লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায়। তাই এই বিষয়ে সচেতন না থাকলে মৃত্যুও হতে পারে। এই বিপজ্জনক ভাইরাসের কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, তবে সঠিক সময়ে এই রোগ শনাক্ত করে হাসপাতালে ভর্তি হলে এর উপসর্গ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সঠিক চিকিৎসা হওয়া সম্ভব। এই রোগ থেকে বাঁচার জন্য মশা থেকে দূরে থাকা জরুরি। তাই বাড়ির ভিতর এবং চারপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে, কোথাও জল জমতে দেওয়া যাবে না এবং মশার কামড় থেকে নিজেকে ও বাচ্চাদের রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ।