কলকাতা, ৪ জুন: রমজানের (Ramadan) ওই রোজার শেষে এল খুশির ইদ। ইদ-এ-মিলাদ-উন-নবী। ইদ-উল ফিতর (Id-Ul-Fitar) উদযাপনে মাতোয়ারা গোটা রাজ্য। ইফতারের সময় পেরোলেই শুরু হয়ে যাবে শুভেচ্ছা বার্তার পালা। আজ ইফতার পর্যন্তই রমজান বর্তমান। আগামীকাল ইদের খুশি মিটে গেলে আবারও একটি বছরের অপেক্ষা। একটি একটি করে দিন গুনতে থাকবেন ধর্মপ্রাণ মুসলিম মুসুল্লিরা। খুশির ইদ মানেই তো দানধ্যান, পরিচিত অপরিচিত সকলের মধ্যেই খুশি পৌঁছে দেওয়া। এই হাইটেকের যুগে স্মার্টফোন আছে যখন তখন আর চিন্তা কি জিফ, ভিডিও মেসেজ পাঠিয়ে ইদের শুভেচ্ছা জানান।
আকাশের ইদের চাঁদ উঠতেই খুশিতে ভরপুর জেনারেশন নেক্সট তাদের মোবাইলে চোখ রাখবে, কেউ তো চাঁদের সহ্গেই সেলফি তুলে টুইটার বা ফেসবুকে পোস্ট করতে পারেন। কেউ আরও একধাপ এগিয়ে গিয়ে আগামী কালের রান্নার আগাম আয়োজনের ছবিও পোস্টাতে পারেন।
ইদের দিন বড়দের পায়ে হাত দিয়ে সালাম করার রীতি মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে চালু আছে। তবে এক্ষেত্রে সেসব সুযোগ সুবিধা খুব একটা কাজ করে না, কারণ ব্যস্ততার যুগে আর আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে গিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় সবসময় হয়ে ওঠে না। সেক্ষেত্রে ফোনই ভরসা। কেউ হোয়াটসঅ্য়াপে সুন্দর একটি শুভেচ্ছাবার্তা সঙ্গে ইদের গ্রিটিংস পাঠিয়ে দিতে পারেন। কেউ ইদ শায়েরির সঙ্গে পাঠাতে পারেন ভিডিও। বাড়ির প্রত্যেকের ভিডিও করে সেটিও শুভেচ্ছা বার্তায় অ্যাড করে দিন। আরও পড়ুন-দুঃস্থকে যথাসাধ্য সাহায্যের মধ্যেই রয়েছে রমজানের সার্থকতা
ওহ অনেক তো বকবক হল, কাল তো নতুন জামাকাপড় পরে স্টাইল স্টেটমেন্টও তৈরি করতে হবে।
বেশিক্ষণ ভাবনা চিন্তা না করে একবার ওয়ার্ডরোবে রাখা নতুন কাপড়ের প্যাকেটটা আলাদা করে দেখুন, ইদে কতগুলো নতুন জামা হল।
এরপর বাছার পালা কখন কোনটা পরবেন। সকালে স্নানের পর ইদের নামাজ পড়ার বিষয় রয়েছে। সেই সময়ের জন্য সাদা সালোয়ার কামিজটা বাছতে পারেন।
পরে বন্ধুের সঙ্গে আউটিংয়ের প্ল্যান থাকলে জিন্স-টিশার্ট বা শাড়ি যেটা মন চায় পরে নিতে পারেন। তবে পোশাক সাদা রঙের হোক ক্ষতি নেই, শুভেচ্ছাবার্তা অবশ্যই বর্ণময় হবে। যেখানে ভালবাসা ভেসে বেড়াবে। পৃথিবীর রক্তাক্ত যন্ত্রণা যেখানে বাধা পেয়ে মুখ লুকোবে, অন্ধকার ভেসে যাবে কোলাকুলির বন্যায়। হিংসা দ্বেষ সন্ত্রাস সবকিছু পরাভূত হবে ইদের শুভেচ্ছার কাছে। পৃথিবী আবারও জেগে উঠবে ভালবাসার আধার হয়ে।