Padma Hilsa Fish (Photo Credit: Md Suliman/ X)

কলকাতাঃ দুর্গাপুজোর মরসুমে ইলিশ মাছের চাহিদা তুঙ্গে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ভারতের কাছে প্রায় চার হাজার মেট্রিক টন ইলিশ মাছ বিক্রির অনুমতি পেয়েছেন। বাংলাদেশের পদ্মা ও মেঘনা নদী এবং চাঁদপুর যেখানে দুটি নদী মিলিত হয়, মূলত সেখান থেকে ইলিশ মাছ আনা হয়। বাংলাদেশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৭৯টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে ভারতে মোট ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। প্রতিটি রপ্তানিকারক ৫০ মেট্রিক টন করে এই দামি মাছ রপ্তানি করতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এই অনুমতি কার্যকর থাকবে। তবে মাছ রপ্তানি করতে হলে ব্যবসায়ীদের অবশ্যই ২০২১-২৪ রপ্তানি নীতিমালা মেনে চলতে হবে এবং চালানের সার্বিক পরিদর্শনের জন্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে অনুমতি দিতে হবে। শুধুমাত্র অনুমোদিত রপ্তানিকারকরাই মাছ রপ্তানিতে অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং এই অনুমোদন কোনোভাবেই স্থানান্তর করা যাবে না। Durga Puja 2023: কৃষ্ণনগরের নাজিরাপাড়া নীল দুর্গাবাড়িতে দুর্গা পূজিত হন অপরিজিতা রূপে, প্রতিমার গায়ের রং নীল বর্ণ

ইলিশের জন্য বছরের প্রধান প্রজনন মৌসুম এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয় আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ২২ দিনের জন্য ইলিশ মাছ ধরা বন্ধের ঘোষণা করেছে। এই নিষেধাজ্ঞায় দেশব্যাপী ইলিশ সংগ্রহ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, মজুদ ও বিনিময় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেপ্টেম্বরের শুরুতে কলকাতায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা আসন্ন হিন্দু উৎসবের প্রত্যাশায় ৫ হাজার টন ইলিশ চেয়ে একটি প্রস্তাব জমা দেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর দুর্গাপূজায় প্রায় ২৯০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ব্যবসায়ীরা মাত্র ১ হাজার ৩০০ টন রফতানি করে যা বরাদ্দের চেয়ে কম।

আগের বছরগুলোতেও একই ধারা অনুসরণ করা হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে 'হিলসা ডিপ্লোমেসি' (Hilsa diplomacy) নামে একটি রীতি প্রচলিত রয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে উৎসবের আগে ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিলেন। দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধার সঙ্গে এই কূটনৈতিক অঙ্গভঙ্গির প্রতিফলন ঘটেছে।