বৃষ্টির মরসুম শুরু হওয়ার কারণে বেড়েছে ডেঙ্গুর আতঙ্ক। জুলাই থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গুর আতঙ্ক থাকে সর্বোচ্চ, ডেঙ্গু মশার বংশবৃদ্ধির জন্য অনুকূল থাকে এই সময়। এমন পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকা খুবই জরুরি, কারণ ডেঙ্গু জ্বর বিপজ্জনক হওয়ার পাশাপাশি প্রাণঘাতীও হতে পারে। এডিস ইজিপ্টি নামের স্ত্রী মশার মাধ্যমে ছড়ায় ডেঙ্গু। তবে এই মশার আয়ু হয় মাত্র ১ মাস। তবে এই ১ মাসের জীবনে স্ত্রী মশা জন্ম দেয় ৫০০ থেকে ১০০০ ডেঙ্গু মশা। এই মশা মাত্র ৩ ফুট পর্যন্ত উড়তে পারে, এই কারণে শরীরের নীচের অঙ্গে কামড়াতে পারে ডেঙ্গু মশা।
জল জমে থাকা জায়গায় ডিম পাড়ে ডেঙ্গু মশা। যেমন কুলার, ফুলের হাঁড়ি, পুরোনো টায়ারে, গর্তে ভরা জলে। একবারে ১০০ থেকে ৩০০টি ডিম পাড়ে ডেঙ্গু মশা, যা ২ থেকে ৭ দিনের মধ্যে পরিণত হয় লার্ভাতে। ৪ দিনের মধ্যে মশার আকার ধারণ করে এবং ২ দিনের মধ্যে উড়তে শুরু করে ডেঙ্গু মশা। ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই ডেঙ্গুর লক্ষণ বা প্রভাব দেখতে পাওয়া যায় না। এডিস মশা কামড়ের মাত্র ৩ থেকে ৫ দিন পর দেখতে পাওয়া যায় ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু মশা শুধুমাত্র দিনের আলোতেই কামড়ায়। রাতের অন্ধকারে ঘরের কোণে বা আর্দ্র জায়গায় লুকিয়ে থাকে এই মশা।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলি হল জ্বর, মাথা ব্যথা, পেশী ব্যথা, ত্বকে ফুসকুড়ি, দাঁতের মাড়ি এবং নাক থেকে রক্তপাত হয়। ডেঙ্গু রোগের প্রতিরোধের জন্য শরীর পুরোপুরি ঢাকা থাকে এমন পোশাক পরা উচিত। দিনে মশা তাড়ানোর লোশন বা তেল ব্যবহার করতে হবে। কোথাও জল জমতে দেওয়া যাবে না। ডেঙ্গুর উপসর্গ দেখা গেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। বর্ষাকালের পর শীতে তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি নামার পর ধীরে ধীরে কমতে থাকে ডেঙ্গুর ঝুঁকি, ততদিন থাকতে হবে খুবই সাবধানে।