বাঙালির হৃদয়ের খাবার ফুচকায় বিপদ! দশ টাকায় কটা-র প্রশ্নে সংশয়! সম্প্রতি কর্ণাটকের রাস্তায় বিক্রি হওয়া ফুচকা (ওখানে বলা হয় পানিপুরি/Panipuri)-র মান পরীক্ষা করতে যান রাজ্যের খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিক, বিশেষজ্ঞরা। ফুচকা ঠিকমত পরিষ্কার জায়গায় তৈরি ও পরিবেশন করা হচ্ছে কি না, খাদ্য দফতরের গাইডলাইন মানা হচ্ছে কি না, সেখানে খারাপ কিছু মেশানো হচ্ছে কি না সেটা খতিয়ে দেখতে বেঙ্গালুরুর শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ২৬০টি ফুচকা, ফুচকার জল, তাতে ব্যবহার করা মশলা নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। ফুটপাথের বিক্রেতা থেকে বড়-দামি রেস্তোরাঁ-যেখানেই ফুচকা বিক্রি হয় সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন খাদ্য সুরক্ষা দফতরের কর্মীরা।
কিন্তু সেই পরীক্ষায় কেঁচো খুঁড়তে বের হল কেউটে। দেখা গেল ফুচকার ২৬০টি নমুনার মধ্যে ৪১টি-তে কৃত্রিম রঙ লাগানোর জন্য যা ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে ক্যান্সারের জন্য দায়ি বস্তু বা পদার্থ আছে। ১৮টি নমুনায় দেখা গিয়েছে যা মানুষের খাবারের পক্ষে অযোগ্য। ফুচকাকে দর্শনীয় দিক থেকে লোভনীয় বানাতে যে রঙের ব্যবহার হচ্ছে সেটি হল 'রোডিমাইন-বি' (Rhodamine-B)। এই জিনিসটি ক্যান্সারের সম্ভাবনা দারুণভাবে বাড়িয়ে তোলে। যেগুলি গোবি মাঞ্চুরিয়ান, কটন ক্যান্ডির মত জিনিসে ব্যবহার করা হয় বলে কর্ণাটক সরকার সেগুলিকে ইতিমধ্যেই ব্যান করেছে।
খাদ্য সুরক্ষা দফতরের কর্মীরা জানান, বেশ কয়েকদিন ধরেই শহরের ফুচকার মান নিয়ে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলে অভিযোগ জানাচ্ছিলেন। তারপরই শহরের সব জায়গা থেকে ফুচকার নমুনা এনে পরীক্ষা করা হয়। মানুষকে কোনও জিনিস খাবার আগে সেই জিনিসকে কী ব্যনহার করছে সেই বিষয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। খাবারে রঙ করতে কোনওরকমভাবেই 'রোডিমাইন-বি'ব্যবহারকরা যাবে না বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।