Laxmi Puja 2025: এসো মা লক্ষী, বসো ঘরে। সোমবার বাঙালির ঘরে ঘরে বাজবে এই গান। কোজাগরি লক্ষ্মীপুজো হল বাঙালির প্রাণের উতস। কোজাগরি পূর্ণিমার রাতে মা লক্ষ্মীর আরাধনা মানেই ভক্তির ছোঁয়া, আলোর ঝলকানি আর শুভ শক্তির আগমন। বিশ্বাস, এই রাতে যিনি মন থেকে মা লক্ষ্মীর পূজা করেন, তাঁর ঘরে আসে সৌভাগ্য, শান্তি ও অর্থলাভ। শুধু ফুল-ফল বা ধূপ কিংবা দীপ নয়। এই দশটি নিয়ম মানলেই ধনলক্ষ্মীর কৃপা পাওয়া যায় বলে মনে করেন পুরোহিত ও জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞরা।
১) গৃহশুদ্ধি ও আলোকসজ্জা:
পুজোর আগে ঘরের প্রতিটি কোণা পরিষ্কার করুন। ধুলো, মাকড়সার জাল বা আবর্জনা যেন না থাকে। ঘরদোরে প্রদীপ, মোমবাতি বা বৈদ্যুতিক আলো জ্বেলে রাখুন। অন্ধকার নাকি মা লক্ষ্মীর অপছন্দ। দুর্গন্ধ যেন ঘরের কোথাও না থাকে, সেটাও নিশ্চিত করুন।
২) পদ্মফুল ও ধান:
পদ্মফুল, ধান ও শস্যদানা মা লক্ষ্মীর প্রতীক। পূজার আসনে রাখলে অর্থপ্রাপ্তির যোগ বাড়ে।
৩) লক্ষ্মীচরণ আঁকা:
চালের গুঁড়ো বা গেরুয়া রঙে দরজার সামনে মা লক্ষ্মীর পদচিহ্ন আঁকুন—বিশ্বাস, দেবী সেই পথে ঘরে প্রবেশ করেন।
৪) গৃহলক্ষ্মীর সম্মান:
বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠা মহিলাদের “গৃহলক্ষ্মী” বলে সম্মান জানানো শুভ। তাঁর আশীর্বাদে সংসারে সমৃদ্ধি আসে।
৫) প্রদীপ দান:
পূর্ণিমার রাতে পাঁচ প্রদীপ জ্বালানো শুভ। পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ ও মাঝখানে আলো জ্বেলে রাখলে অশুভ শক্তি দূর হয়।
৬) দান ও ভোজন:
লক্ষ্মীপুজোর পরদিন গরিব বা ব্রাহ্মণকে ভোজন করানো বিশেষ ফলদায়ক। চাল, দুধ বা মিষ্টি দান করলে ঘরে কখনও অন্নের অভাব হয় না।
৭) শঙ্খধ্বনি ও ঘণ্টা:
পুজোর সময় শঙ্খ ও ঘণ্টা বাজালে ঘরের নেগেটিভ এনার্জি দূর হয়, মানসিক শান্তিও আসে।
৮) মন্ত্রপাঠ ও জপ:
“ওঁ হ্রীং লক্ষ্ম্যৈ নমঃ” মন্ত্রটি অন্তত ১০৮ বার জপ করুন। এতে ধনপ্রাপ্তি, ভাগ্যোন্নতি ও কর্মফল বৃদ্ধি পায়।
৯) লাল বা গোলাপি পোশাক:
লক্ষ্মীপুজোর রাতে লাল, গোলাপি বা সোনালি রঙের পোশাক পরা শুভ। এই রঙ মা লক্ষ্মীর প্রিয় বলে মনে করা হয়।
১০) পরিবারের ঐক্য:
পূজোর সময় পরিবারের সবাই একসঙ্গে প্রার্থনা করুন। বিশ্বাস, মিলন ও শান্তিই মা লক্ষ্মীর আসল আশীর্বাদ।
এই দশটি কাজের সঙ্গে যদি থাকে আন্তরিকতা, ভক্তি আর পরিষ্কার মন,তাহলেই নাকি মা লক্ষ্মী স্থায়ীভাবে বসবাস করেন ঘরে। তাই এ কোজাগরিতে, শুধু পূজার আড়ম্বর নয় মন থেকে মা লক্ষ্মীকে আহ্বান জানানোই প্রকৃত সমৃদ্ধির চাবিকাঠি।