নতুন দিল্লি, ২৮ অক্টোবর: কবে আসবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন (Covid-19 Vaccine) ? এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন সেরাম ইনস্টিটিউটের (Serum Institute of India) কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা (Adar Poonawalla)। বুধবার তিনি এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, ভারতে সেরাম ইনস্টিটিউট দ্বারা উৎপাদিত অক্সফোর্ডের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন ডিসেম্বরের প্রথম দিকে প্রস্তুত হতে পারে এবং ২০২১ সালের দ্বিতীয় বা তৃতীয় কোয়ার্টারের মধ্যে ১০০ মিলিয়ন ডোজের প্রথম ব্যাচ চলে আসবে। আদর পুনাওয়ালা বলেন, "যদি আমরা জরুরি লাইসেন্সের জন্য না যাই, আমাদের বিচারে ডিসেম্বরের মধ্যেই ট্রায়াল শেষ হওয়া উচিত এবং তারপরে আমরা সম্ভবত জানুয়ারিতে ভারতে আনতে পারি। যদি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ব্রিটেন তাদের গবেষণা শেষ করে এবং ডেটা শেয়ার করে নেয় এবং এটি নিরাপদ বলে আত্মবিশ্বাসী হয়, তবে আমরা, দু-তিন সপ্তাহ পরে সম্ভাব্য জরুরি লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারি যদি ভারত সরকার চায়। তবে লন্ডনেও এর ট্রায়াল হচ্ছে, সেটা সম্পূর্ণ হওয়ার দিকেও নজর রাখতে হবে।"
পুনাওয়ালা আরও বলেন, "আমরা মনে করছি যে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে দু’-তিন সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। ফলে সেই অনুমান মাফিক সব কিছু এগোলে ডিসেম্বরের মধ্যেই ভ্যাকসিন চলে আসতে পারে। যদিও এই বিষয়গুলিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আধিকারিকরাই সিদ্ধান্ত নেবেন, ফলে এ বিষয়ে সঠিকভাবে আমরা কিছু বলতে পারি না।" ভ্যাকসিনের সাধারণ প্রাপ্যতা সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা করে তিনি বলেন, "আমরা প্রথমে ১০০ মিলিয়ন ডোজ পাওয়ার লক্ষ্য রেখেছি। এটি ২০২১ সালের দ্বিতীয় বা তৃতীয় কোয়ার্টারের মধ্যে পাওয়া উচিত।" আরও পড়ুন: Smriti Irani Tested Positive For COVID-19: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি
বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট, করোনাভাইরাসের জন্য বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন প্রার্থীর ওপর কাজ করছে। তারা অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের (AstraZeneca-Oxford University) কোভিশিল্ড (Covishield) ভ্যাকসিন রয়েছে। বিশ্বজুড়ে ১৫০ টিরও বেশি সম্ভাব্য ভ্যাকসিন তৈরি করা হচ্ছে, ৩৮টি হিউম্যান ট্রায়ালে রয়েছে। মোদারনা ইনক, ফাইজার ইনক এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা পিএলসি-র ভ্যাকসিন ইতিমধ্যেই শেষ পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে। অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের সুরক্ষার বিষয়ে আপাতত কোনও উদ্বেগ নেই। এই বিষয়ে আদর পুনাওয়ালা বলেছেন, প্রাথমিক সূচকগুলি সব ইতিবাচক হলেও, তবে ভ্যাকসিন প্রার্থীর যে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলবে তা নিশ্চিত হতে এক বা দু'বছর সময় লাগবে। একটি ভ্যাকসিন দুটি ডোজে নিতে হবে। দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান হবে ২৮ দিন। তিনি বলেন, "আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর থেকে এখনও ব্যয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারছি না। তবে আমি বলব যে এটি কয়েকশো টাকার মধ্যে হবে, বাকিটা সরকার দেখবে।"