
Ahmedabad Plane Crash: তিনি মৃত্যুঞ্জয়। আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়েছে ২২৯ জন যাত্রী-সহ ২ জন পাইলট এবং ১০ জন ক্রু সদস্যের। এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-১৭১ বিমান ভেঙে পড়া (Air India Flight AI-171 Crash) এবং তাতে আগুন লেগে সকলের মৃত্যু হলেও বেঁচে গিয়েছেন কেবল মাত্র ১ জন যাত্রী। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে নবজন্ম হয়েছে তাঁর। বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার একমাত্র জীবিত যাত্রী বিশ্বাসকুমার রমেশ (Vishwashkumar Ramesh)। এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। শুক্রবার সকালে রমেশের সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই এদিন তিনি ভয়াবহ দুর্ঘটনার বিবরণ দিলেন। জানালেন, কীভাবে তিনি বেঁচে ফিরেছেন, দুর্ঘটনাগ্রস্থ বিমানের কোন জায়গা থেকে তিনি বেরিয়ে এসেছেন।
ঠিক কী ঘটেছিল দুর্ঘটনা মুহূর্তে?
বছর ৪০-এর রমেশ জানালেন, তাঁর বেঁচে থাকাটা তিনি নিজেই এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না। কারণ দুর্ঘটনার পর কিছুক্ষণের জন্যে তাঁর মনে হয়েছিল, তিনিও মরতে চলেছেন। কিন্তু জ্ঞান ফিরতেই বুঝলেন তিনি বেঁচে রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হলেন বিমানের সিটবেল্ট খোলার। বললেন, 'বিমান উড়ানের ১ মিনিটের মধ্যেই তা আছড়ে পড়ে। জ্ঞান ফেরার পর উঠে দাঁড়াতেই দেখি চারিপাশে লাশ পড়ে। বিমানের যে অংশের দিকে আমি ছিলাম সেটি হোস্টেলের একতলার ফাঁকা জায়গা ছিল। দরজা ভেঙে যাওয়ার পর আমি দেখলাম এখান থেকে আমি বেরতে পারব। আর আমি সেটাই করলাম। কিন্তু আমার উলটো দিকে হোস্টেলের বিল্ডিংয়ের দেওয়াল ছিল। তাই হয়তো সেখান থেকে কোন যাত্রী বের হতে পারেনি'।
'মৃত্যুঞ্জয়' রমেশের মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসার অভিজ্ঞতা
Exclusive conversation with Ramesh Vishwashkumar, the only survivor of the Ahmedabad plane crash.
Seat 11A 💀 creepy #planecrashahmedabad #planecrash pic.twitter.com/AtNB2IFf90
— Sumit (@SumitHansd) June 13, 2025
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক রমেশ বর্তমানে ব্রিটেনে থাকেন। তাঁর স্ত্রী এবং সন্তান রয়েছে সেখানেই। আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে ভারতে আসেন তিনি। বাড়ি ফেরার জন্যে বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-১৭১ বিমানটিতে চাপেন। বিমানের ইকোনমি ক্লাসের ১১এ আসনে বসেছিলেন রমেশ। আপৎকালীন দরজার কাছেই ছিল তাঁর আসন। আর সেই কারণেই বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। ভেঙে পড়ার পর বিমানে আগুন জ্বলে ওঠে। ২৪১ জনকে গিলে খেয়েছে বিধ্বংসী আগুন। রমেশের বাঁ হাতের কিছুটা অংশও পুড়ে গিয়েছে আগুনে।