প্রতীকী ছবি(Photo Credit: Latestly.com)

সীতাপুর, ৮ আগস্ট: পণের দাবি মেটেনি, ফোন করে স্ত্রীকে তিল তালাক দিয়েছিল স্বামী। এই অন্যায্য জুলুম মানতে না পেরে থানায় গিয়েছিলেন প্রতিবাদী স্ত্রী। ফল হল মারাত্মক, বাড়ি বয়ে এসে ওই গৃহবধূর নাক কেটেদিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তিন তালাক বিল পাশ হওয়ার পরে যেন মুসলিম মহিলাদের উপরে অত্যাচার বেড়েই চলেছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরে। এরপরে আক্রান্ত গৃহবধূ থানায় গিয়ে অভিযুক্ত শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে ৪৯৮ ধারায় মামলা রুজু করেন। একই সঙ্গে বিবাহিত মুসলিম মহিলাদের অধিকার রক্ষা আইন ২০১৯-এর আওতায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরও পড়ুন-ব্যাংক ম্যানেজারের পরিচয়ে মহারানির টাকা লুট, রাজনির্দেশে হাজতে গেল ঠগ

পুলিশ জানিয়েছে, ওই গৃহবধূর আঘাত গুরুতর, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে শুধু গৃহবধূই নন এই হামলায় কমবেসি আক্রান্ত বাপের বাড়ির প্রত্যেকেই। মা শারিফুন নিশার কথায়, “আমার মেয়েকে রোজই মারধর করত, মানসিক নির্যাতন চালাত এবং পণের দাবিও করত। পুলিশের কাছে তিন তালাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করি।” এর পরেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন মহিলার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। তাঁর কথায়, “লাঠি, ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে চড়াও হয় ওরা। আমাকে, মেয়েকে মারধর করে। মামলা তুলতে আমার মেয়ে রাজি না হলে ছুরি দিয়ে ওর নাক কেটে দেয় শ্বশুরবাড়ির লোকজন।”

উল্লেখ্য, তিন তালাক ফৌজদারী অপরাধ হিসেবে গন্য হয়েছে। তার পরেও ফোন করে তিন তালাক দেওয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছিলেন স্ত্রী। পুলিশকে অভিযোগকারিনী জানিয়েছিলেন, বিয়ের পর থেকেই মারধর করতেন স্বামী। যখন তখন গায়ে হাত তুলতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। প্রতিবাদ করলেই জুটত বেধড়ক মার, হুমকি। একদিন স্বামী ডেকে পাঠান তাঁর মাকে। এক সঙ্গে ঘর করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেন। রাজি না হলে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এর পর ফোন করে তিন তালাক বলে দেন স্বামী। এরই প্রতিবাদে থানায় গিয়েছিলেন তিনি। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই থানায় যাওয়ার অপরাধে নাক কাটা গেল গৃহবধূর। তবে ঘটনার পর থেকেই উধাও শ্বশুরবাড়ির লোকজন, তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।