যোগী আদিত্যনাথ(Photo Credit: IANS)

নতুন দিল্লি, ২০ এপ্রিল: প্রয়াত যোগী আদিত্যনাথের বাবা আনন্দ সিং বিস্ত। সোমবার বেলা পৌনে দশটা নাগাদ দিল্লির এইমসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরেই  গুরুতর অসুস্থ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) বাবা। গত সপ্তাহে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে দিল্লির এইমসে ভর্তি করা হয়েছে। কিডনি ও লিভারের সমস্যা নিয়ে সেখানেই ভেন্টিলেশনে রয়েছেন তিনি। একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানেই চলছে যাবতীয় চিকিৎসা। লাই হিন্দুস্তান রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেল থেকেই আনন্দ সিং বিস্তের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে। পরিস্থিতি বিবেচনা করেই তাঁকে ভেন্টিলেশনে পাঠানো হয়।

একইভাবে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকায় দেশের রাজনৈতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণের বর্তমান কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিলেন যোগী আদিত্যনাথের বাবা। আনন্দ সিং বিস্ত বন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তিন একন ফরেস্ট রেঞ্জার। থাকতেন দেরাদুনে। তাঁকে কয়েকমাস আগে তীব্র ডিহাইড্রেশনের কারণে বেশ কিছুদিন দেরাদুনের এক হাসপাতালে কাটাতে হয়েছিল। রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অবনীশ কুমার অবন্তি আনন্দ সিং বিস্তের মৃত্যুর খবর জানান। তিনি এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। আরও পড়ুন-Yogi Adityanath's Father Is In ICU: লিভার ও কিডনির সমস্যায় গুরুতর অসুস্থ, আইসিউ-তে যোগী আদিত্যনাথের বাবা

উত্তরাখণ্ডের ইয়ামকেশওয়ারর এলাকার পাঞ্চর গ্রামের বাসিন্দা আনন্দ সিং বিস্ত। ১৯৯১ সালে ফরেস্ট রে়ঞ্জারের পদ থেকে অবসর নেন তিনি। তাঁর সাত সন্তান রয়েছে। দ্বিতীয় সন্তান হলেন যোগী আদিত্যনাথ। রবিবার সন্ধে থেকেই আনন্দ সিং বিস্তের মৃত্যুর গুজব রটে যায়। তবে সেই সময় এইমসের চিকিৎসকদের তরফে কোনও নিশ্চিত মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসেনি। ১৯৯০ সালে অযোধ্যার রামমন্দির আন্দোলনে যোগ দিতে বাড়ি ছাড়েন যোগী আদিত্যনাথ। ১৯৯৩ সালে তিনি গোরক্ষনাথ মঠের প্রধান পুরোহিত মহান্ত অবৈদ্যনাথের শিষ্য হন।