সরকারি স্কুলের মিড ডে মিল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ডাক্তারের বদলে স্কুলে ডেকে আনা হল তান্ত্রিককে।ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মাহোবা জেলার পানওয়াড়ির মহুয়া গ্রামে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।মেয়েদের হাসপাতালে ভর্তি করার পরিবর্তে, স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের নিরাময়ের জন্য একজন তান্ত্রিককে ডেকে পাঠায়। এবং এক অসুস্থ ছাত্রীকে সুস্থ করার অছিলায় তাঁর ওপর চলতে থাকে নির্যাতন। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই প্রশাসন পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
UP : महोबा में खाने के बाद 15 स्कूली छात्राएं बीमार,
◆ इलाज के लिए बुलाया गया तांत्रिक, प्रशासन ने दिए जांच के आदेश
Mahoba | #Mahoba pic.twitter.com/LkmzfjOY8h
— News24 (@news24tvchannel) December 21, 2022
তাঁরা গিয়ে দেখেন তখনও ওই তান্ত্রিক ওখানে বসে আছেন। এরপর ঊর্ধ্বতন জেলা ও পুলিশ আধিকারিকরা স্কুলে পৌঁছে তান্ত্রিককে ধরার চেষ্টা করেন এবং ছাত্রীদের স্থানীয় কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে (Community HealthCentre) চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেন। কুলপাহারের সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট অরুণ দীক্ষিত বলেন, "ঘটনাটির সঠিক অনুসন্ধান করা হচ্ছে। মিড-ডে মিলের তৈরি খাবারের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্তের জন্য খাদ্য পরিদর্শককে দেওয়া হয়েছে। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণেও শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া তিনি বলেন- ঘটনার তদন্ত চলছে এবং কার পরামর্শে তান্ত্রিককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সে ব্যাপারে খতিয়ে দেখা হবে।”
মিড ডে মিল খেয়ে যে সব ছাত্রীর অবস্থার অবনতি হয়েছে তাদের বয়স ৯ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে।শিক্ষার্থীরা জানায়, দু-তিন দিন আগেও কিছু শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছিল, কিন্তু কিছুক্ষণ পর সুস্থ হয়ে উঠেছিল।
স্থানীয়রা অবশ্য স্কুল কর্তৃপক্ষের পাশে দাঁড়িয়ে জোর দিয়েছেন ভূতের তত্ত্ব -তে। তাঁরা পুলিশকে জানান- যে স্কুলটিতে ভূতের বাস ছিল, যে কারণে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তারা আরও দাবি করে-একটি ছাত্রী প্রথমে সাদা পোশাক পরা একজন মহিলাকে দেখেছিল যেটি সম্ভবত একটি ভূত ছিল এবং কিছুক্ষণ পরে অদৃশ্য হয়ে যায়। তবে ডাক্তাররা বলেছেন যে মেয়েরা আতঙ্কে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল এবং তাঁরা সকলেই খুব ভীতসন্ত্রস্ত ছিল। তবে তাঁরা স্বাভাবিক হয়ে আসছে।