প্রতীকী ছবি(Photo Credit: PTI):

লখনউ, ৬ ফেব্রুয়ারি: একদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণে ট্রাস্ট গঠন করেছে কেন্দ্র। পরের দিনই জানা গেল, অযোধ্যাতেই সুপ্রিম রায় মেনে মসজিদ নির্মাণে ৫ একর জমি বরাদ্দ করেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার (UP government)। জমি বরাদ্দ হয়েছে অযোধ্যা জেলারই সোহাওয়াল তহসিলের অন্তর্গত ধন্নিপুর গ্রামে (Dhannipur village to)। রামমন্দিরের জন্য প্রস্তাবিত জমি থেকে এই ধন্নিপুরের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। এই জমি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড নেবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় আছে। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি বৈঠক ডেকেছে তারা। তবে অযোধ্যা মামলায় সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কোনও আবেদন করবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড।

গত বছর নভেম্বরে অযোধ্যা মামলায় ঐতিহাসিক রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি হিন্দু মামলাকারীকে দেওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছে। অন্যদিকে, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে অযোধ্যার অন্যত্র ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। সেই নির্দেশ মেনে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার মন্দির তৈরির জন্য ট্রাস্ট গঠন করে ফেলেছে। বুধবার লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণে আমরা একটা প্রকল্প তৈরি করেছি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে একটি ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র। এটি হবে স্বশাসিত।' আরও পড়ুন-VHP On Ram Temple: ২০২৪-২৫ এর মধ্যেই রামমন্দির নির্মাণ সম্পূর্ণ হবে, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরেপরেই বলল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

জানা গিয়েছে, ধন্নিপুর গ্রাম লখনউ হাইওয়ের পাশে অবস্থিত। জেলা সদর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১৮ কিলোমিটার। মসজিদ নির্মাণের জন্য এই গ্রামেই ৫ একর জমি সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডকে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। ধন্নিপুর অযোধ্যা পুরসভা এলাকার অন্তর্গত। তবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এর পরিপ্রেক্ষিত কী ভাবছে তা এখনও জানা যায়নি।