লোহার গেটে বায়োমেট্রিক। আর সেখানে আঙুল দিতে গিয়েই ঘটল বিপত্তি। বিদ্যুতপিষ্ট হয়ে ছিটকে পড়ল তরুণী। আর তারপরেই স্থানীয় বাসিন্দা ও কোচিং সেন্টার কর্তৃপক্ষ তাঁকে উদ্ধার করে ভর্তি করল হাসপাতালে। সপ্তাহখানেক আগে ঘটনাটি ঘটেছিল দিল্লির কারোল বাগ এলাকায়। জানা যাচ্ছে, ওল্ড রাজেন্দ্র নগরে পড়ুয়ামৃত্যু ঘটনার দিন দুয়েক আগে উত্তর প্রদেশের বারেলির বাসিন্দা বাণী আওয়াস্তি নামে এক তরুণী কারোল বাগের কোচিং সেন্টারে ঢুকছিলেন। সেও ইউপিএসসির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ওইদিন দিল্লিতে প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল, সেই বৃষ্টি মাথায় নিয়েই কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিলেন বাণী। তবে ঢুকতে গিয়েই বিদ্যুতপিষ্ট হয় সে।
তবে যেহেতু ঝটকা ততক্ষণাৎ হাত ছেড়ে দেয় তাই অচৈতন্য অবস্থায় রাস্তায় পড়ে যায়। এরপর তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। তবে শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে বারেলির একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি বা দিকে শক্তি হারিয়েছেন। তবে চিকিৎসা চললে সেই সমস্যার সমাধান হবে। তবে ওই ঘটনার পর ট্রমার মধ্যে রয়েছে সে। কোনও ধাতব জিনিসে হাত দিতে ভয় পাচ্ছে। যদিও বর্তমানে সে সুস্থ রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
#WATCH | Uttar Pradesh: A girl, Vani Awasthi is undergoing treatment at a private hospital in Bareilly after she suffered electrocution at a coaching centre in Delhi where she is a student. She suffered the electric shock when she was allegedly using a biometric machine to… pic.twitter.com/5lVzCnDbHn
— ANI (@ANI) August 2, 2024
সূত্রের খবর, এই কোচিং সেন্টারেও বেসমেন্টে ছিল লাইব্রেরি। আর বাণীর সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটার পর সংস্থার কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি এই সেন্টারটি বন্ধ করে দেয়। এমনকী ওই বায়োমেট্রিক মেশিনটি সরিয়ে দেয় বলে জানা যাচ্ছে। যদিও এই ঘটনার পর বাণীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে পুলিশে কোনও অভিযোগ জানায়নি।