মথুরা, ২ সেপ্টেম্বর: জাতীয় সুরক্ষা আইনে গ্রেপ্তার হওয়া উত্তরপ্রদেশের চিকিৎসক ডাক্তার কাফিল খান (Dr Kafeel Khan) মুক্ত। মঙ্গলবার এলাহাবাদ হাইকোর্ট তাঁর শর্তাধীন জামিন মঞ্জুর করেন। এর পর মধ্যরাতে মথুরা জেল থেকে ছাড়া পান ওই চিকিৎসক। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে সিএএ বিরোধী মন্তব্য করায় তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইনে মামলা রুজু হয়েছিল। এতদিন সেকারণেই জেলবন্দি ছিলেন ডাক্তার কাফিল খান। মূলত সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার নিষ্পত্তি করে ১৫ দিনের মধ্যে ডাক্তার কাফিল খানের মুক্তির নির্দেশ দিয়েছল এলাহাবাদ হাইকোর্টকে। তারপরেই জামিন পেলেন ওই চিকিৎসক। জেল থেকে মুক্তির পরেই সমগ্র দেশবাসীকে ধন্যবাদ দিয়েছেন ডাক্তার কাফিল খান।
তিনি বলেন, “সংগ্রামের সময় আমার পাশে থাকার জন্য দেশের ১৩৮ কোটি জনতাকে ধন্যবাদ জানাই। এই নির্দেশিকার জন্য বিচার ব্যবস্থাকেও আমার ধন্যবাদ। সেখানে তাঁরা বলেছেন, আমাকে জেলে বন্দি করে রাখতে উত্তরপ্রদেশ সরকার মিথ্যে, ভিত্তিহীন ও কল্পিত মামলা সাজিয়েছে। আমি উত্তরপ্রদেশ এসটিএফ-কেও ধন্যবাদ দিতে চাই যে মুম্বই থেকে মথুরায় নিয়ে আসার সময় তারা আমাকে মেরে ফেলেনি।” জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরেই তাঁর ভবিষ্যতের কর্মপন্থা নিয়ে কাফিল খান জানান, তিনি বন্যাকবলিত রাজ্য বিহার, অসম ও কেরালায় ত্রাণের কাজে অংশ নিতে যাবেন। আরও পড়ন-Mahakaleshwar Temple: সুপ্রিম রায়, মহাকালেশ্বর মন্দিরের শিবলিঙ্গ ছুঁতে পারবেন না পুণ্যার্থীরা
এছাড়াও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছেও আর্জি জানিয়েছেন ডাক্তার কাফিল খান। সেই বিবৃতিতে বলা আছে, “মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি, আমায় কাজে পুনর্বহাল করুন। যাতে এই বিপর্যয়ের সময় মানুষের জন্য করোনাযোদ্ধা হিসেবে কাজ করতে পারি।” গত ১২ ডিসেম্বর আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সিএএ বিরোধী মন্তব্যের অভিযোগে জানুয়ারিতে উত্তরপ্রদেশ এসটিএফ মুম্বই থেকে ডাক্তার কাফিল খানকে গ্রেপ্তার করে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইনে মামলা রুজু হয়।